বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ কঠিন আইন করে যে গণপ্রহার ঠেকানো যাবে না সেটা আরও একবার প্রমানিত হল । কারন, বাংলায় সদ্য পাস হয়েছে কড়া আইন কিন্তু তাতেও এ রাজ্যে গণপ্রহার বন্ধ করা গেল না । গাছে বেঁধে এক যুবককে বেধড়ক প্রহার করায়, মৃত্যু হয়েছে এক যুবকের । ঘটনাটি ঘটেছে, হাওড়ার সালকিয়ায় ।
হাওড়ার সাল কিয়ায় রবিবার সকালে গণপ্রহারে অচৈতন্য এক যুবককে উদ্ধার করে পুলিশ । পুলিশ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা রক্তাক্ত ওই যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করেন । রবিবার ভোরে হাওড়ার সালকিয়া চৌরাস্তার কাছে একটি ক্লাবের মাঠে আমগাছে বাঁধা অবস্থায় এক অজ্ঞাতপরিচয় যুবককে দেখতে পান এলাকার লোকজন। যুবকটিকে ওই অবস্থায় দেখে আতংকিত মানুষ স্থানীয় মালি পাঁচ ঘরা থানায় খবর দেন । খবর পেয়ে, থানা থেকে পুলিশ ঘটনা স্থলে আসেন খবর পেয়ে হাওড়া সিটি পুলিশের কয়েকজন কর্তাও ঘটনাস্থলে চলে আসেন । তারা মারাত্মকভাবে আহত যুবকটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান ।
পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, নিহত যুবকের নাম মহম্মদ এরশাদ । এরশাদের বাড়ি নদীয়া জেলায় ।পুলিশ এখনও পর্যন্ত কোন রাজনীতির গন্ধ পায়নি । প্রাথমিক ভাবে পুলিশ অনুমান করছে, চোর সন্দেহে ওই যুবককে ধরা হয় এবং তারপর গাছে বেঁধে পিটিয়ে মারা হয়েছে । অপরাধীদের পাকড়াও করার জন্য সিসি ক্যামেরার ফুটেজ-এর সাহায্য নিচ্ছে পুলিশ বলে জানা গেছে । সিসি তি ভির ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের সনাক্ত করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যে একজনকে তারা আটকও করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে । আটক ব্যাক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, জিটি রোড লাগোয়া ওই ক্লাবের মাঠে একটি গুদাম আছে। গ্রেট ইস্টার্ন নামে একটি সংস্থাকে ওই গুদামটি ভাড়া দেওয়া হয়েছিল ইলেকট্রনিক সামগ্রী রাখার জন্য । সেখানে পাহারার ব্যাবস্থা ছিল । তাছাড়া, সকালে জিনিস ডেলিভারি করার জন্য রাতে সেখানে জনা চার-পাঁচ লোক থাকতেন । ওই লোকজনের সঙ্গেই বচসা হয় এরশাদের ।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত এরশাদের সঙ্গে অভিযুক্তদের পরিচয় ছিল। সেই কারনে শুধু মাত্র চোর সন্দেহে এরশাদকে মারা হয়েছে বলে পুরপুরি মেনে নিতে নারাজ পুলিশ । অভিযুক্তদের সাথে পরিচয় থাকলে, কেবল মাত্র চোর সন্দেহে কাউকে মারা সম্ভব নয় বলে মনে করছে পুলিশ । এ বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে । আসল ঘটনা কি, সেটা জানার জন্য ঘটনার সঙ্গে যুক্ত বাকিদের খুঁজতে শুরু করেছে পুলিশ।