বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ সেই ষাটের দশক থেকেই দাদাগিরি দেখিয়ে আসছে চীন । কিন্তু এবার ভারতের কাছ থেকে যোগ্য জবাব পেতে শুরু করেছে । হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারছে ভারতের পিছনে লাগার ফল । প্রথম দিকে ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিলেও এখনও পরিস্থিতি অনেকটাই ভারতের পক্ষে । ফলে নিজেদের গুটিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছে লাল ফৌজ । আর এর জন্য ভারতকে স্যালুট দিল আমেরিকা ।
সীমান্ত নিয়ে চীনের সাথে ভারতের বিবাদ অনেকদিনের । পাকিস্তানের সাথে মিলিত হয়ে ভারতের পিছনে অতীতে অনেকবারই লেগেছে চীন । কিন্তু এবার আর চীনের দাদাগিরি কাজে আসছে নে । ইতিমধ্যে নিজেদের গুটিয়ে নিয়ে গালওয়ান সহ সীমান্তের একাধিক পয়েন্ট থেকে সরে গিয়েছে চিনের বাহিনী। ভারত যেভাবে চিনের আগ্রাসনের জবাব দিয়েছে তা যথোপযুক্ত বলে মনে করেন মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও।
মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও জানিয়েছেন, শুধু ভারত নয়, সীমান্ত নিয়ে সমস্যা তৈরি করা চীনের বহুদিনের অভ্যাস । দক্ষিন চীন সাগরে নিজেদের অধিকার কায়েম করতেও চীন পিছুপা হয়নি । তিনি মনে করেন, বিশ্বের কোনও দেশের উচিত নয়, চিনের এই দাদাগিরিকে প্রশ্রয় দেওয়ার। সীমান্তে চিনা বাহিনীর দাদাগিরি প্রসঙ্গে আরও মন্তব্য করেছেন মার্কিন বিদেশ সচিব। তিনি বলেছেন, এই পরিস্থিতিতে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে আমার বহুবার আলাচনা হয়েছে। চিনারা অবিশ্বাস্যভাবে আগ্রাসী মনোভাব দেখিয়েছে। ভারত সেরা জবাব দিয়েছে বলে মনে করেন মার্কিন বিদেশ সচিব।
এদিকে চিনা সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসের রিপোর্ট অনুযায়ী, চিনের বিদেশমন্ত্রী ঝাও লিজিয়ান বলেছেন, ‘গত ৩০ জুন কমান্ডার লেভেলের তৃতীয় বৈঠকের পর সরে গিয়েছে দুই দেশের সেনা। দুই দেশের যৌথভাবেই ক্যাম্প সরানোর বিষয়টিকে যাচাই করে বিশ্বাস অর্জনের কাজ দ্রুত শেষ হবে। সোমবারই, লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনা কিছুটা প্রশমিত হওয়ার খবর এসেছে। চিনের সেনাবাহিনী সরে গিয়েছে বলে আগেই খবর এসেছে। এবার সেই কথা স্বীকার করল চিন।
ভারতের সাথে সীমান্ত নিয়ে একদিকে যেমন চীন সমস্যা সৃষ্টি করেছে তেমনি বিশ্ব পরিবেশ আদালতে ভুটানের বিরুদ্ধে সীমান্ত সমস্যার মামলা দাখিল করেছে চিন। হিমালয়ের পাহাড়ি অঞ্চল থেকে ভিয়েতনামের সমুদ্র— সীমান্ত সংঘাতকে উস্কানি দেওয়ার একটা অভ্যাস রয়েছে চিনের। এদিকে জাপানের সাথে হংকং নিয়ে চীনের সম্পর্ক দ্রুত অবনতি হচ্ছে । ইতিমধ্যে জাপান জানিয়ে দিয়েছিল, সীমান্ত নিয়ে বিরোধে তারা ভারতকেই সমর্থন করবে । অন্য দিকে আমেরিকা জানিয়েছে, প্রয়োজনে চীনকে জব্দ করতে অস্ত্র দিয়েও সাহায্য করতে প্রস্তুত তারা ।