বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: লন্ডনে বাংলাদেশিদের জোরপূর্বক বিয়ে দেয়ার প্রবনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। যুক্তরাজ্য সরকারের একটি পরিসংখ্যানে জানা যায় ২০১৮ সালে ১৫৭ জন বাংলাদেশিকে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে দেয়া হয়। তবে বাংলাদেশিদের জোরপূর্বক বিয়ের প্রবণতা বৃদ্ধি পেলেও এ তালিকায় শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের ৭৬৯ জনকে জোরপূর্বক বিয়ে দেয়া হয়েছে। জোরপূর্বক বিয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে ভারতীয় রয়েছে ১১০ জন। যুক্তরাজ্যের পরিসংখ্যানে দেখা যায় প্রত্যেক বছর এ সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
প্রসঙ্গত বাংলাদেশিদের এই জোরপূর্বক বিয়ে বেশী ঘটছে নিউহ্যামের বরো এবং টাওয়ার হ্যামলেটসে। একই সাথে যে ভয়ংঙ্কর তথ্য প্রকাশ হয় এই শিকারের তালিকায় বেশীর ভাগ মেয়েদের বয়স ১৮ থেকে ২৫ বছর। উল্লেখ্য বিট্রিশ আইন অনুসারে ছেলে মেয়ের অসম্মতিতে বিয়ে হলেই তা জোর পূর্বক বিয়ে। জাতিসংঘ জোরপূর্বক বিয়েকে মানবাধিকার লঙ্ঘন হিসাবে বিবেচনা করে। আন্তর্জাতিক বা সর্বক্ষেত্রে নারী কর্তৃক জীবনসঙ্গী নির্বাচন ও স্বাধীনভাবে বিয়ে করার অধিকার রয়েছে।
জোরপূর্বক বিয়ের পিছনে অনেক কারণ থাকলেও ধর্মীয় ও সংস্কৃতি গত কারণ এর মধ্যে অন্যতম। অনেক সময় পারিবারীক, সামাজিক, আর্থিক নিরাপত্তার কারণে জোরপূর্বক বিয়ে বৃদ্ধি পায়। জোর পূর্বক বিয়ের তালিকায় এখনও যে দেশগুলো অন্যতম তার মধ্যে আফ্রিকা, মাদাগাস্কার, মালাউই, মৌরিতানিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, নাইজার অন্যতম। দেশ বিদেশে যখন জোর পূর্বক বিয়ে নিয়ন্ত্রন করার আইন সহ বিভিন্ন কার্যক্রম হচ্ছে তখন বাংলাদেশেও দেখা যায় জোর পূর্বক বিয়ে। তবে জোর পূর্বক বিয়ে হলেও তার তথ্য থেকে যায় প্রচারের অন্তরালে।