বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: অন্যবারের তুলনায় অনেক দেরিতে বর্ষা’র আগমন ঘটেছে এবার। আর বর্ষা নামার সাথে সাথে ডেঙ্গু আতঙ্ক শুরু হয়ে গিয়েছে দুই বাংলা’র মানুষের মধ্যে। শহর কলকাতা অবশ্য বিভিন্ন রকম কড়া বন্দোবস্তের মধ্য দিয়ে নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করেছে মশাবাহিত ভয়ঙ্কর এই রোগের জীবাণু’কে। তবে সংকটজনক অবস্থায় রয়েছে বাংলাদেশ। ক্রমে ডেঙ্গুর ভয়াবহ প্রভাব ছড়িয়ে পড়ার খবর মিলছে সীমান্তবর্তী শহর বনগাঁ’য়। পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগণা জেলার অন্তর্গত একটি শহর হল বনগাঁ।
এর আগে হাবড়া, গোবরডাঙা’তে পর এবারে বনগাঁ ডেঙ্গু’র ভয়ঙ্কর রূপ দেখতে পাওয়া গেছে। এবার পালা বনগাঁ’র। আর এর অন্যতম কারণ হিসাবে বলা যায় প্রশাসন এবং পুরসভার গাফিলতি। এমনিতেই গত দু’মাস যাবৎ অচল বনগাঁ পুরসভা, ফলে পুরসভার সমস্ত কাজ বন্ধ ছিলো এতদিন।
ইতিমধ্যে বনগাঁ মহাকুমা হাসপাতালে বিভিন্ন জ্বরে ভর্তি হয়েছেন ৭৫ জন। এর মধ্যে ৩৫ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত বলে হাসপাতাল সূত্রের খবর।
পাশাপাশি সীমান্ত লাগোয়া জনপদ বাগদা ব্লকের উত্তর বয়রা থেকে সামান্য দূরেই ওপার বাংলা’র অবস্থানের কারণে সেখানেও অবস্থা সংকটাপন্ন। বিগত ২০১৭ সালে উত্তর বয়রা এলাকাতে ব্যাপকভাবেই ছড়িয়েছিল ডেঙ্গু জ্বরের প্রভাব। কয়েকজন মারাও গিয়েছিলেন। তারপর থেকেই বর্ষা এলে এলাকার স্থানীয় মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই অনেকে জ্বরে আক্রান্ত। এবার এখনও পর্যন্ত পঞ্চায়েত বা প্রশাসন কারও পক্ষ থেকেই মশা মারতে তেমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।
স্থানীয় প্রবীণ কিছু বাসিন্দা’দের বক্তব্য অনুযায়ী, এই মরসুমে পঞ্চায়েত থেকে মশা মারতে তেল, ব্লিচিং, চুন কিছুই ছড়ানো হয়নি। মশার উপদ্রবে দিনের বেলাতেও খালি গায়ে থাকা যাচ্ছেনা। এলাকায় ঘুরে দেখা গেলো, ঝোপ-জঙ্গলে ছেয়ে আছে চারিদিক, ডোবার জলে ভেসে বেড়াচ্ছে মশার লার্ভা। অবশ্য সাধারণ মানুষ নিজেরা উদ্যোগ করে বেশ কিছু বন-জঙ্গল সাফ করেছেন। তবে যত্রতত্র থার্মোকল ও প্লাস্টিকের ক্যারি ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখা গেলো। মুখ্যমন্ত্রী সাবধানতার কথা বললেও সীমান্তের গ্রামগুলিতে জোড় কদমে এখনও মশা মারা, বোন-জঙ্গল সাফাই, নিকাশি ব্যাবস্থা পরিষ্কারের কাজ তেমন হচ্ছেনা।
বয়রা, রনঘাট, সিন্দ্রাণী, আষারু, বাগদা, ঘাটবাওর, ছয়ঘরিয়া, ঝাউডাঙা, শুটিয়া পঞ্চায়েতগুলি একেবারে সীমান্ত লাগোয়া। ওই সব এলাকাতেও ডেঙ্গু প্রতিরোধের কাজে এখনও গতি আসেনি। মানুষও সচেতন নন।