বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: বিদ্যালয় বিদ্যা অর্জনের জায়গা । সেখানে শিক্ষকরা বিদ্যা দান করেন শিক্ষার্থীদের । কোন কোন শিক্ষার্থী মনোযোগী হয়, আবার কেউ কেউ অমনোযোগী । শিক্ষককে পিতার আসনে বসানো হয় ।একজন বাবার মতো স্নেহ, মমতা, ভালোবাসা এবং শাসন করার ক্ষমতা থাকে শিক্ষকের । শিক্ষকের উপর নির্ভর করে ভবিষ্যতে ছাত্ররা কেমন হবে । কিন্তু শিক্ষাদানের সময় শিক্ষক নিজেকে নিয়ন্ত্রণ না করে অতিরিক্ত শাসন করে তাহলে ? ঠিক এমনই একটা ঘটনা ঘটে গেল পাকিস্তানে । ছাত্রকে শাস্তি দিতে গিয়ে এমন একটা পর্যায়ে চলে গেছিলেন শিক্ষক, যে অবশেষে দশম শ্রেণীতে পড়া সেই ছাত্রের মৃত্যু ঘটে ।দশম শ্রেণির এক ছাত্রকে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে শিক্ষকের বিরুদ্ধে। বদলা নিতে স্কুলে আগুন ধরিয়ে দেয় ওই ছাত্রের সহপাঠীরা। এই ঘটনায় তোলপাড় পাকিস্তানের লাহোরের আমেরিকান লাইসিটাফ স্কুল।
জিও টিভি সূত্রে খবর, শুক্রবার পড়া না পারায় ক্লাস টেনের ওই ছাত্র হাফিজ হুনাইন বিলালকে বেধড়ক মারধর করেন সেই স্কুলের একজন শিক্ষক । শাস্তি দিতে গিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন । নিজের ক্রোধ কন্ট্রোল করতে না পেরে ছাত্রের মাথা দেয়ালে ঠুকে দিতে থাকেন ।শুধু তাই নয়, এ ছাড়াও তার পিঠে ও পেটে লাথি মারা হয় ।শিক্ষকের মারের চোটে জ্ঞান হারায় হাফিজ ।অন্যান্য সহপাঠীরা আহত বন্ধুকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলেই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়নি বলে অভিযোগ । কিছুক্ষন পরে বিনা চিকিৎসায় স্কুলেই মারা যায় হাফিজ ।
পুলিশে খবর দেওয়া হলে, খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করলেও রাগ কমেনি তার সহপাঠীদের। শনিবার সকালে তারা পেট্রলের ক্যান নিয়ে স্কুলে ঢোকে বলে জানা গিয়েছে। তারপরেই কয়েকটা ঘরে তা ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায় স্কুলে। কোনও রকমে সব ছাত্র-ছাত্রীদের বের করে এনে সেই আগুন নেভানো হয়। পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে বেশ কয়েকজন ছাত্রকে গ্রেফতার করেছে । ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এই খবর ছড়িয়ে পড়েছে। তারপরে সবাই অভিযুক্ত শিক্ষকের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। হাফিজের বাবা অভিযোগ করেছেন, বেশ কয়েক মাস বেতন না দিতে পারায় তাঁর ছেলেকে আগেও অনেকবার মারধর করেছেন ওই শিক্ষক ।পাকিস্তানের স্কুলশিক্ষা মন্ত্রী মুরাদ রাস কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন । এখনও স্কুল সংলগ্ন এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে ।