বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ গতকাল রবিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ হাজার ৮৫০ জন যা এই পর্যন্ত রেকর্ড । সেই সাথে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৭ লক্ষ । পাশাপাশি করোনা আক্রান্তের নিরিখে গোটা বিশ্বে তৃতীয় স্থানে চলে এল ভারতের নাম ।
গোটা বিশ্বে লকডাউনের শিথিলতা যত বাড়ছে ততই হু হু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা । বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু আগেই সতর্ক করে দিয়েছিল এভাবে লকডাউনের শিথিলতা আগামী দিনে বড় বিপদ ডেকে আনতে চলেছে । ভারতে যেভাবে লাফিয়ে লাফিয়ে প্রতিদিন রেকর্ড মাত্রায় করোনা সংক্রমণ বাড়ছে তাতে আগামী কিছু দিনের মধ্যে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই । তবে আশার কথা অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা অনেকটাই কিমি. ।
করোনা আক্রান্তের বিচারে এত দিন আমেরিকা এবং ব্রাজিলের পরে ছিল রাশিরায় নাম । গত চার দিনে যেভাবে ভারতে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়েছে তাতে গতকালই রাশিয়াকে ছাপিয়ে তৃতীয় স্থানে চলে এল দেশ । মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রদত্ত তথ্য বিচার করলে ভারতের থেকে এগিয়ে আছে শুধুমাত্র ব্রাজিল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ব্রাজিলে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা অন্তত ১৫ লক্ষ। অন্য দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মোট আক্রান্ত ২৮ লক্ষ ।
নভেম্বরে চিনে করোনা সংক্রমণ শুরু হবার খুব দ্রুত গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে এই মারন ভাইরাস । চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ভারতে প্রথম করোনা সংক্রমণ দেখা দেয় । ২৩ শে মার্চ করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গোটা দেশে জরুরী ভিত্তিতে লকডাউন ঘোষণা করেন । প্রায় ৯০ দিন পর ধিরে ধিরে লকডাউনে শিথিলতা আনা হয় । কিন্তু চলতি মাসে যেভাবে লাফিয়ে লাফিয়ে ভারতে করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলেছে তাতে অচিরেই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হবার আশংকা করা হচ্ছে ।
গতকাল রবিবার পর্যন্ত গোটা দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৭ লক্ষ (৬ লক্ষ ৯০ হাজারের বেশি) । গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪ হাজার ৮৫০ জন আক্রান্ত হয়েছেন ।মারা গেছেন ৬১৩ । সব মিলিয়ে দেশে মোট করোনায় মৃত্যু ১৯ হাজার ২৬৮ তে পৌঁছয়। গোটা দেশে করোনা মোকাবিলায় ডাকা লকডাউনে শিথিলতা এলেও এখনও স্কুল কলেজ সিনেমাহল বন্ধই রাখা হয়েছে। বন্ধ যাত্রীবাহী ট্রেনও। এদিকে খুব দ্রুত দিল্লিতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় করোনা হাসপাতাল সর্দার প্যাটেল কোভিড কেয়ার সেন্টার অ্যান্ড হসপিটাল গড়েছে কেন্দ্র। অন্তত ১০০০০ রোগীকে ভর্তি করা যাবে ওই হাসপাতালে। ১০০০ রোগীকে অক্সিজেন দেওয়া যাবে। রয়েছে ২৫০ বেডের আইসিইউ ইউনিট। আপাতত উপসর্গহীন করোনা রোগীদের চিকিত্সা করা হবে এই হাসপাতালে।