বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্য গুলির মধ্যে একটি হল আগ্রার তাজমহল। প্রেমের প্রতীক এই সৌধটি ৩৭০ বছর ধরে ভারতের গৌরব এবং ঐতিহ্যকে বহন করে নিয়ে চলেছে। তবে তৈরির ৩৭০ বছর পর বদল হতে চলেছে তাজমহলের মেঝের নক্সা।
এখনও পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্য দেখেননি? মানে আগ্ররার তাজমহলের কথা বলা হচ্ছে। যদি না কেউ দেখে থাকে তবে অবশ্যই এই মুহূর্তে দেখে নেওয়া উচিৎ। কারণ কিছুদিনের মধ্যেই ভারতের এই অপূর্ব সুন্দর স্মৃতিসৌধ পরিবর্তিত হয়ে একেবারে নতুন রূপে দেখা দেবে। তাজমহল নির্মাণের ৩৭০ বছর পরে তাজমহলের নক্সাকাটা মেঝের পরিবর্তন হতে চলেছে। তাজমহলের নক্সাকাটা মেঝের ৪০০ জীর্ণ পাথর পরিবর্তন করে নতুন করে বসানো হবে। এবারে এই নতুন লাল পাথর এবং মার্বেল আনা হচ্ছে যথাক্রমে রাজস্থানের বংশীপাথর এবং মাকরানা থেকে। এই বিশাল বড় প্রজেক্টের টেন্ডার পেয়েছে ভারতের পুরাতত্ব বিভাগ।
এই নতুন পাথর এবং মার্বেলগুলি মেশিন দিয়ে কাটা হবে বলে জানা গেছে। এই পাথর এবং মার্বেল কাটার এবং ঘষার ফলে যে দূষণ ছড়াবে তার হাত থেকে তাজমহলকে রক্ষা করতে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই পাথর এবং মার্বেল কাটা ও ঘষা হবে দশহারা ঘাটের কাছে কারখানায় এবং গোশালায়।
তাজমহল তৈরি হয়েছিল ১৬৪৮ সালে শাহাজাহানের সময়। স্ত্রী মমতাজের কবরের ওপর তৈরি হওয়া এই স্মৃতিসৌধ সারা পৃথিবীতে পরিচিত প্রেমের প্রতীক হিসেবে। দুধ সাদা রঙের এই আশ্চর্য নির্মাণ সুদূর কাল থেকে সারা বিশ্বের মানুষকে টেনে নিয়ে এসেছে ভারতে। এই স্মৃতিসৌধের অপূর্বতা তাকে দিয়েছে পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের তকমা। তবে পরিবেশ দূষণ ধীরে ধীরে গ্রাস করছে এই এই সৃষ্টির সৌন্দর্যকে। তাই তৈরির এতো বছর পর আসতে আসতে এর মেঝে এবং দেওয়ালের পাথর নষ্ট হয়ে যেতে বসেছে। তাই একে রক্ষা করতে সরকার তৎপর হয়ে এই দৃষ্টান্ত মূলক সিদ্ধান্ত নেন। এখন দেখা যাক এই পরিবর্তন কতোটা তাজমহলের ক্ষতি রুখে আবার এটিকে স্বমহিমায় ফিরিয়ে আনতে পারে।