বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ নিজের টলমল গদি বাঁচাতে একের পর এক বোমা ফাটাচ্ছেন নেপালের প্রধান মন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি । আগে ভারতের কিছু অংশ নিজেদের ম্যাপে ঢুকিয়ে নিয়েছিলেন, এবার ভগবান রামকে নিয়ে টানাটানি শুরু করলেন । সোমবার নেপালের প্রধান মন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি দাবি করলেন, ভগবান রাম আসলে ভারতীয় নন, আর অযোধ্যাও আসলে ভারতের নয়।
ভারতের সাথে সীমান্ত নিয়ে চীনের বিরোধ বরাবরের মত চলে আসছে । কিন্তু চীনের কমিউনিস্ট সরকারের প্ররোচনায় পা দিয়ে ভারতের চিরদিনের বন্ধু রাষ্ট্র নেপাল, কমিউনিস্ট সরকারের শাসনে এমন বেঁকে বসবে সেটা কি কেউ কখনো ভেবেছিল ! কিছু দিনে আগেই ভারতের বেশ কয়েকটি জায়গা নেপালের মানচিত্রে যোগ করে দেওয়ার পর থেকেই বিতর্কের মুখে নেপালের প্রধান মন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি । তাতেই নিজের দলের কাছে বিক্ষোভের মুখে পড়ে গদি টলমল । এবার ভগবান রামকে নিয়ে টানাটানি করতে গিয়ে ফের কি বিপদে পড়তে চলেছেন সে শ্রী রামই জানেন !
জানা গেছে, সোমবার নেপালের একটি পরিচিত অনুষ্ঠান ভানু জয়ন্তী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলির নিজের বাসভবনে একটি অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, ভারত যে অযোধ্যাকে রামের জন্মভূমি হিসেবে উল্লেখ করে, সে কথা একেবারেই ঠিক নয় । এমন কি রামজন্মভুমি অযোধ্যাও নাকি ভারতের বাইরে ! এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নেপালের বীরগঞ্জে থোরিতে আসল অযোধ্যা অবস্থিত। তাঁর কথায় ‘ভারত ভারতের একটি জায়গাকে অযোধ্যা বলে উল্লেখ করে।’
অনুষ্ঠানে নেপালের প্রধানমন্ত্রী বলেন, অযোধ্যা নিয়ে বিতর্ক রয়েছেই। আসলে অযোধ্যা বলে যেটিকে উল্লেখ করা হয়, সেটা আসল অযোধ্যা নয়। নেপালের বীরগঞ্জের পশ্চিমে থোরিতে অবস্থিত অযোধ্যা। নেপালেই অবস্থিত বাল্মিকী আশ্রম আর নেপালেই রিদিতে দশরথ পুত্র সন্তান লাভের জন্য যজ্ঞ করেছিলেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘দশরথের ছেলে রাম ভারতীয় ছিলেন না আর অযোধ্যাও নেপালে।’
নেপালের প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যে যে বিতর্ক সৃষ্টি হবে সে কথা তিনি বিলক্ষন জানেন । সেকারনে তিনি বলেন, তাঁর এই তত্ত্ব শুনে অনেকেই তাঁর বিরুদ্ধে মুখ খুলতে পারেন। এদিকে মাত্র কিছু দিন হল, নেপালের প্রধান মন্ত্রী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, নেপালিরা ভারতের সংবাদ মাধ্যমগুলি দেখতে পারবেন না । কারন ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলি নাকি নেপাল সরকার এবং সে দেশের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে লাগাতার মিথ্যা প্রচার চালায় ।
নেপালের প্রধান মন্ত্রী ওলির ভগবান রামকে নিয়ে এই বক্তব্যের পর নিজের দল থেকে কিরূপ প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে সে বিষয়ে কিছুই জানা যায়নি । তবে ভারতীয়দের ধর্মাবেগে আঘাত দিয়ে তিনি পার পাবেন না, বিশেষ করে এই মুহূর্তে যেখানে ভারতে ক্ষমতায় আছে গেরুয়া দল, সে বিষয়ে নিশ্চিত । তবে অনেকেই মনে করছেন, ওলি এভাবে ভারতীয়দের ধর্মাবেগে আঘাত দিয়ে ভারতের সাথে সম্পর্কটাকে আরও তিক্ততার দিকে নিয়ে যাচ্ছেন ।