বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ গত ৫ই আগস্ট অযোধ্যায় রামমন্দিরের ভুমি পুজা শেষ । এবার রাম মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হবে । পূর্বে রাম মন্দিরের যে নকশা নির্বাচন করা হয়েছিল, বর্তমানে সেখানে নতুন নকশা অনুসারে কাজ হবে । ফলে মন্দিরের আয়তন বেড়ে দ্বিগুণ হচ্ছে । জানা গেছে, মন্দিরের গঠন প্রণালী এমনভাবে করা হচ্ছে, তাতে হাজার বছরেও মন্দির কাঠামোর কোন ক্ষতি হবে না ।
গত ৫ই আগস্ট অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ভুমি পুজা শেষ । ভুমি পুজায় উপস্থিত ছিলেন প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীসহ আরও ১৭৫ জন অতিথি । আইন, আদালত সব কিছু করার পর এই মন্দির তৈরি শুরু হতে চলেছে । কেমন হচ্ছে মন্দিরের গঠন! প্রাকৃতিক বিপর্যের সামনে মন্দিরের কাঠামো টিকে থাকার ক্ষমতা কতখানি ! এই ধরনের নানা প্রশ্ন উকি দিচ্ছে সকলের মনে । এ বিষয়ে রামমন্দির ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাইয়ের কথা অনুযায়ী আগামী ১০০০ বছরেও কোন ক্ষতি হবেনা এই মন্দিরের।
কি এমন ব্যবস্থা নেওয়া হতে চলেছে রাম মন্দির নির্মাণের সময় যাতে মন্দিরের স্থায়িত্ব এত বেড়ে যাবে ! এ বিষয়ে চম্পত রাইয়ের বক্তব্য, “পুনর্নির্মাণের জন্য এই মন্দির ও তার সংলগ্ন এলাকা খোঁড়া হয়েছিল। সেই সময় পুরনো মন্দিরের অনেক নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে। কয়েকশো বছরের পুরনো অনেক নিদর্শনই আমাদের হাতে এসেছে। সেগুলি নতুন মন্দিরে প্রদর্শনের জন্য রাখা থাকবে।’ তিনি আরও জানিয়েছেন, “নদীর উপরে ব্রিজ তৈরির জন্য যে শক্তপোক্ত পিলার মাটির গভীরে বসানো হয়। রাম মন্দিরের ক্ষেত্রেও এমনই শক্তিশালী পিলার তৈরি করা হবে। রাম মন্দিরের কাঠামো এই শক্তিশালী পিলারগুলির উপর ভর করে থাকবে।”
এই মুহূর্তে বিভিন্ন স্থান থেকে মন্দির নির্মাণের জন্য অনুদান সংগ্রহের কাজ চলছে । মন্দির নির্মাণের দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে ‘লারসেন অ্যান্ড টুবরো” সংস্থার হাতে । জানা গেছে, এখনো অবধি রাম মন্দির নির্মাণ ট্রাস্টে ৪২ কোটি টাকা রয়েছে। সম্পাদকের কথায়, “মন্দির নির্মাণের জন্য ট্রাস্টের কাছে অ্যাকাউন্টে বর্তমানে ৪২ কোটি টাকা রয়েছে। এক টাকা থেকে শুরু করে এক কোটি টাকা পর্যন্ত অনুদান পেয়েছে ট্রাস্ট। সেই অনুদানের টাকাই জমে ৪২ কোটি টাকা হয়েছে। আরও অনুদান আসবে আগামি দিনে।”