বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ “সোনাগাছি” নমটা শুনলেই মানুষ চমকে ওঠে অথচ সবারই কৌতূহল এই নামটার সাথে জড়িয়ে থাকা জায়গাটা সম্পর্কে। কিন্তু আমরা কতজন জানি এই নাম এবং স্থানটার সাথে জড়িয়ে থাকা ইতিহাস সম্পর্কে। “সোনাগাছি” নামটার উদ্ভবের রহস্য সত্যিই অবিশ্বাস্য।

কোলকাতার অদূরে অবস্থিত “সোনাগাছি” জায়গার নামটা শুনলেই যেন চমকে ওঠেন সাধারণ মানুষ। নামটাই যেন মানুষকে করে দেয় অপবিত্র। কিন্তু সব কিছুর আড়ালে বা লুকিয়ে সেই মানুষ গুলোই সেখানকার পরিদর্শক হয়ে ওঠে কখনও কখনও। অথচ আমরা জানিই না কত কষ্ট আশা আকাঙ্ক্ষার মৃত্যু হয়েছে সেখানে। কত মেয়েদের জীবন আমূল বদলে গেছে এই স্থানে এসে। কত ইতিহাস জড়িয়ে আছে এই স্থানটিকে ঘিরে এবং কত অজানা তথ্য লুকোনো আছে এই স্থানে। সবচেয়ে চমকপ্রদ তথ্য লুকিয়ে আছে এই স্থানের নামের সাথে। জানলে অবাক হতে হবে জানলে এই স্থানের নামকরণের ইতিহাস। যদিও উত্তর কোলকাতার দর্জিপাড়া এলাকা যা মূলত সোনাগাছি নামে পরিচিত এর নাম আসলে গৌরি শঙ্কর লেন। এই স্থানের গলিতে গলিতে পাতা বিছানা, যেখানে প্রতিদিন হাজার হাজার মেয়ের স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয় এবং জন্ম নেয় নতুন ইতিহাস। প্রতিদিনের ইতিহাস সংগ্রহ করে এটি হয়ে ওঠে এশিয়ার সবচেয়ে বড় রেড লাইট এলাকা। তবে এই স্থানটির নাম কিভাবে সোনাগাছি হল তা নিয়ে আছে অনেক কাহিনী। শোনা যায় এই স্থানের একদা অধিপতি ছিলেন সোনা গাজী নামের একজন মুসলিম সন্ত। তাঁর যেহেতু আধিপত্য ছিল এই স্থানে তাঁর মৃত্যুর পর এই স্থানের নাম “সোনা গাজী” থেকে হয়ে যায় সোনাগাছি। এই সন্তের সমাধিও আছে এই স্থানে।

যারা এই স্থানটিকে অপবিত্র ভাবেন ভাবেন যারা এখানকার বাসিন্দা তারা সবাই সমাজের বাইরে থাকা একেবারে অচ্ছুত প্রাণী, তাদের জেনে রাখা ভালো যে এই স্থানের আদি বাসিন্দা হলেন একজন সন্ত এবং তিনি ছিলেন এখানকার আদি বাসিন্দা এছাড়াও বাঙালিদের শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গা পুজো আর এই পুজোতে প্রতিমার মূর্তি গড়তে লাগে এই স্থানের মাটি। তাই এই কথাটা বলাই যায় যে পবিত্রতা মানুষের বাহ্যিক বস্তু নয় একেবারেই আন্তরিক।

Suchandra Chakraborty is a news reporter and content writer at BongDunia. She has completed her masters from Calcutta University on Mass Communication. She has worked in mainstream media at India. Currently, she is working with BongDunia.

Leave A Reply