বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ “কারও পৌষ মাস, কারও সর্বনাশ”- হ্যাঁ শীত প্রেমীরা এবার নিজের এলাকায় বসেই উপভোগ করতে পারবেন শীতের আমেজ, কিন্তু গরীব সাধারন মানুষের দুর্গতি বাড়িয়ে নতুন বছরের শুরু হতে চলেছে বৃষ্টি আর হাড় হিম করা ঠাণ্ডা নিয়ে । পয়লা জানুয়ারি থেকে ৩রা জানুয়ারি পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভবনার কথা জানিয়ে দিল আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর ।
গতকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার । সূর্যদেব কখন যে মেঘের আড়াল থেকে উঁকি মেরেছেন, সে কথা জোর গলায় সকলে বলতে পারবে কি না সন্দেহ রয়েছে । গতকাল রাতভোর বৃষ্টির পর তাপমাত্রা নেমে গেছে হু হু করে । সকাল শুরু হয়েছে কনকনে ঠাণ্ডা নিয়ে । উত্তরবঙ্গে সকালে হয়েছে শিলা বৃষ্টি । এরই মাঝে আবারও অকাল বৃষ্টিপাতের খবর জানাল আবহাওয়া অফিস ।
আইএমডি-র ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “নতুন বছরের পয়লা দিন থেকেই বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। পয়লা জানুয়ারি সন্ধের পর থেকেই বৃষ্টি শুরু হতে পারে। ২ তারিখ বাড়বে বৃষ্টির পরিমাণ। সেদিন দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বাকি জেলাগুলোয় মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে। ৩ তারিখ সকাল পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।”
সাধারনভাবে বছরের এই সময়টাতে আকাশ থাকে পরিষ্কার । কিন্তু গতকাল থেকেই বৃষ্টি । বৃষ্টিপাতের কারন হিসাবে সঞ্জীববাবুর বক্তব্য, ওয়েস্টালির সঙ্গে ইস্টারলির সংঘর্ষের ফলেই এই বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়। তিনি বলেছেন, আগামী ৩০ ডিসেম্বর উত্তর-পূর্ব ভারতে একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে উত্তর-পশ্চিম হিমালয় থেকে ধেয়ে আসবে শুষ্ক-শীতল হাওয়া। সেই সময়েই সমতল থেকে উপরের দিকে বইবে উষ্ণ-জলীয় বাষ্প পূর্ণ বায়ু। এই দুই বায়ুর মুখোমুখি সংঘর্ষের ফলেই তৈরি হবে মেঘ। এবং অতিরিক্ত জলীয় বাষ্পের কারণে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে বছরের প্রথম তিনদিন।
অকাল বৃষ্টির জন্য আচমকা পারদের এই পতন । এরপর উত্তরে হাওয়া ঢুকতে শুরু করলে পারদ কোথায় গিয়ে থামে তা নিয়ে শঙ্কিত আবহাওয়াবিদরা । ইতিমধ্যে, আগামী দিনে অতীতের শীতের রেকর্ড চুরমার হয়ে যাবার মত আলামত দেখতে পারছেন আবহাওয়াবিদরা । এই অকাল বৃষ্টি শীতকালীন সবজির উপরে ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে ।