বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ এবারের পুজো বৃষ্টির মধ্যেই দেখতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে । মৌসুমি বায়ু বঙ্গে এখনও সক্রিয় আছে । এর উপর তৈরি হয়েছে নিম্মচাপ । আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, পঞ্জাব থেকে বিহার হয়ে দক্ষিণ অসম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা। এর প্রভাবে মুর্শিদাবাদ, বাঁকুড়া, বীরভূম ও পূর্ব বর্ধমানে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে । গতকাল সকালে টানা বৃষ্টির পরে একটু বেলা বাড়লে কিছুটা আকাশ পরিষ্কার হয়েছিল । আজ সারাদিন মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির কথা শোনাল আবহাওয়া দপ্তর ।
আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী এবারের পুজোতে বৃষ্টির হাত থেকে রেহাই মিলছে না । কারন, আগামী চারদিনও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে বলেই জানা গিয়েছে । এদিকে পুজোর কেনাকাটা করার জন্য বাইরে বের হওয়া যাচ্ছে না ঠিক মত । অপর দিকে পুজো প্যান্ডেলের কর্মকর্তারা গালে হাত দিয়ে বসে আছেন ঠিক মত কাজ করতে না পারার জন্য । প্রতিমা শিল্পীদের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ । এর উপরে আবহাওয়া দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণাবর্ত ও নিম্নচাপের জোড়া ফলার জেরে আজও ভারী বৃষ্টি হবে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় ।
এবছর টানা বৃষ্টির কারনে সবচেয়ে ভোগান্তি বেশি উত্তরবঙ্গে ।কারন দক্ষিন বঙ্গে পুজোর সময় বৃষ্টি হলেও পরে থেমে যাবার কথা । কিন্তু উত্তর বঙ্গে, টানা চলবে বৃষ্টি । আবহাওয়া বিদরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ হয়তো কিছুটা কমবে, কিন্তু একেবারে রেহাই মিলবে না। হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে । সুতরাং এ বছর ছাতা মাথায় করে কতখানি পুজোর মজা করা যাবে সে বিষয়ে যথেষ্ট সংশয় আছে ।
আবহাওয়া অফিসের খবর অনুসারে, অন্ধ্রপ্রদেশ ও তামিলনাড়ুর কাছে বঙ্গোপসাগরের উপর দুটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে । সেইসঙ্গে ফের অসম ও নাগাল্যান্ডের উপরেও একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে । এর সঙ্গে রয়েছে রাজ্যের উপর মৌসুমি বায়ুর অতিসক্রিয়তা । এই সকল কারনে বৃষ্টির হাত থেকে এ বছর মুক্তি পাওয়া দুষ্কর । সবচেয়ে বড় কথা, এই তিন নিম্নচাপ আস্তে আস্তে শক্তি হারালেও, ফের পুজোর সময় উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তের কাছে নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। এই নিম্নচাপের ফলে পুজোর দিনগুলোতেও বৃষ্টি হতে পারে গোটা রাজ্যে । আগামী দিনের বৃষ্টির পরিমাণ কেমন হবে আবহাওয়া দপ্তর অবশ্য পরিষ্কার করে সে খবর বলেনি ।