বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ একের পর এক করোনা টেস্ট কেলেঙ্কারি ঘটনায় জেরবার বাংলাদেশ । কোটি কোটি টাকার ভুয়ো করোনা টেস্টের মুল পাণ্ডা মহম্মদ সাহেদ অবশেষে সীমান্ত পেরিয়ে পালাতে গিয়ে ধরা পড়ল । বাংলাদেশের ঢাকার রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মহম্মদ সাহেদ বশিরহাট সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে আসার সময় জল পথেই ধরা পড়ল ।
বাংলাদেশ সরকার যে সমস্ত সংস্থাকে সরকারীভাবে করোনা টেস্ট করার অনুমতি প্রদান করেছিল তাদের মধ্যে অন্যতম ছিল মহম্মদ সাহেদের ঢাকার রিজেন্ট হাসপাতাল । মানুষের জীবন নিয়ে ছিনি মিনি খেলে ভুয়ো করোনা টেস্ট করে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছে ঢাকার রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যানে মহম্মদ সাহেদ । তদন্তে তার নাম উঠে আসার পরেই আত্মগোপন করে সে । এর পর বাংলাদেশের সাতক্ষীরায় কিছুদিন আত্মগোপন করে থাকার পর ভারতে পালিয়ে আসার পথে বিজিবি ও অনুসন্ধান বাহিনির হাতে ধরা পড়ে ।
উল্লেখ্য বেশ কয়েকদিন ধরেই বাংলাদেশ বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে জাল করোনা টেস্টের অনুসন্ধান শুরু করে । বাংলাদেশ সরকারের অনুমতিপ্রাপ্ত সংস্থাগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল ঢাকার রিজেন্ট হাসপাতাল এবং জেকেজি গ্রুপ । এই দুই সংস্থার বিরুদ্ধে উঠে আসে জাল করোনা রিপোর্ট দেওয়ার বিষয়টি। জনসাধারণকে লাগাতার ভুয়ো করোনা রিপোর্ট দিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে এই দুই সংস্থা।জেকেজির দুই কর্ণধার আরিফ ও তার স্ত্রী সাবরিনা আগেই ধৃত। এবার পুলিশের জালে এলো রিজেন্টের কর্ণধার মহম্মদ সাহেদ।
ঢাকার রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মহম্মদ সাহেদের পৈত্রিক বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় । তদন্তে উঠে এসেছে, ১৯৪৭ সাসে দেশভাগের সময় মহ. সাহেদ করিমের পরিবার পশ্চিমবঙ্গ ছেড়ে চলে আসে। ১৯৯৮ সালে সাতক্ষীরা সরকারি বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণিতে পড়াকালে সাহেদ করিম নানা অপরাধ করে ঢাকায় পালিয়ে যায়। সেখানে গড়ে তোলে রিজেন্ট হাসপাতাল। জানা গেছে, ধরা পড়ার ভয়ে মহম্মদ সাহেদ ঢাকা থেকে পালিয়ে সাতক্ষীরায় বেশ কিছু দিন আত্মগোপন করে ছিল । বুধবার ভোরে র্যাব অভিযানে খুলনার সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটার রামগতি সীমান্ত এলাকা থেকে অবৈধ অস্ত্র সহ তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আপাতত এই অপরাধীকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ।