বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ গোটা বিশ্বে মহামারীর আকার নেওয়া করোনা ভাইরাসের ভ্যাক্সিন তৈরিতে বিজ্ঞানীরা দিনরাত গবেষণা করে চলেছেন । গবেষণার জন্য খরচ প্রচুর । অথচ কাজ থেমে থাকলে তো চলবে না ! এবার গবেষণার খরচের যোগান দিতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন এক ভারতীয় শিল্পপতি লক্ষী মিত্তল । তিনি ভ্যাক্সিন তৈরিতে দান করলেন ৩৩০০ কোটি টাকা ।

শিল্পপতি লক্ষী মিত্তল এই বিপুল পরিমাণে অর্থ দান করেছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্যাকসিনোলজি বিভাগকে। এই বিভাগটি জেনার ইনস্টিটিউটের অন্তর্গত । বিশাল অংকের এই অর্থ হাতে পেয়ে গবেষকদের উদ্যম আরও বেড়ে গেছে । ইতিমধ্যে শিল্পপতি লক্ষী মিত্তলকে সম্মান জানিয়ে ক্সফোর্ডের এই ইনস্টিটিউটের নামও পাল্টে দেওয়া হয়েছে। নতুন নাম হয়েছে, লক্ষ্মী মিত্তল অ্যান্ড ফ্যামিলি প্রফেসরশিপ অফ ভ্যাকসিনোলজি।

বর্তমানে গোটা বিশ্বে ছেয়ে গেছে মারন ভাইরাস করোনা । প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ । অথচ এখনও পর্যন্ত বাজারে কোন প্রকার করোনা ভ্যাক্সিন বের হয়নি । গোটা বিশ্বের বিজ্ঞানীরা মিলিত হয়ে আপ্রান চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে মানব জাতির অস্তিত্ব রক্ষা করার জন্য যে কোন মুল্যে ভ্যাক্সিন বের করার জন্য । গোটা দুনিয়ার ১ কোটি ২৪ লক্ষেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন এই মারণ ভাইরাসে। গবেষণার কাজে অনেকেই এগিয়ে এসেছেন । কিন্তু এবার ভারতীয় শিল্পপতি লক্ষী মিত্তলের হাত দিয়ে ৩৩০০ কোটি টাকা গবেষণার কাজ আরও দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে ।

লক্ষী মিত্তলের বিলাসবহুল ইয়ট

ইতিমধ্যে  বিশ্বের যে কটি ভ্যাক্সিন গবেষণা আশার আলো দেখাচ্ছে তাদের মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে অক্সফোর্ড ।  বর্তমানে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কোভিড ভ্যাকসিন ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের চূড়ান্ত পর্বে রয়েছে। ChAdOx1 ভাইরাস থেকে তৈরি করা হয়েছে ভ্যাকসিনটি। আর এই ভাইরাস থেকেই শিম্পাঞ্জিদের মধ্যে সংক্রমণ হয়। তবে বংশপরম্পরায় এটি পরিবর্তিত হয়ে যায়। ফলে মানুষের শরীরে কোনও সংক্রমণ হয় না। গবেষণার কাজ অনেকটাই এগিয়ে গেছে । বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু পর্যন্ত অধীর আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে আছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার দিকে ।

ভারতীয় শিল্পপতি লক্ষী মিত্তলের এই বিপুল পরিমাণে অর্থ গবেষণার জন্য অনুদান হিসাবে পেয়ে বিজ্ঞানীরা যথেষ্ট আপ্লুত । অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন গ্রুপের প্রধান প্রফেসর অ্যান্ড্রু পোলার্ড জানিয়েছেন, ‘এই ভ্যাকসিন নিয়ে আমরা প্রচন্ড আশাবাদী। তবে এই ট্রায়াল সফল হলেও ৬ মাসরে আগে এই ভ্যাকসিন বাজারে আনা সম্ভব নয় ।  তবে আর্থিক দিক থেকে ভ্যাক্সিন তৈরির কাজে যাতে কোনও ব্যাঘাত না ঘটে, সেই কারণেই ভারতীয় শিল্পপতি লক্ষ্মী মিত্তল এই বিপুল পরিমাণ অর্থ সাহায্য করলেন। ভ্যাকসিন আবিষ্কার হলে মহামারি থেকে মানুষকে বাঁচাতে লক্ষ্মী মিত্তলের এই উদ্যোগ স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।’

Kajal Paul is one of the Co-Founder and writer at BongDunia. He has previously worked with some publishers and also with some organizations. He has completed Graduation on Political Science from Calcutta University and also has experience in News Media Industry.

Leave A Reply