তানজিনা আক্তার রুপাকে সৎ ভাই যুবায়ের আহম্মেদ সম্রাট ধর্ষন করতে না পেরে গলা টিপে হত্যা করে। পরে রাজধানীর মতিঝিলের সিটি সেন্টারের ১৪ তলা থেকে বোনকে ফেলে দেয়। নিজের দোষ আদালতে স্বীকার করেন আসামী।
ঘটনার পর রুপার মা হত্যা মামলা করেন। ঐ হত্যা মামলায় আসামি সম্রাটকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করায় এ তথ্য বেরিয়ে আসে। ধর্ষনের চেষ্টা করলে রুপা বাধা দিলে বোনকে গলা টিপে হত্যা করেন। পরে এই হত্যাকে আত্মহত্যা হিসাবে সাজান আসামি। জিজ্ঞাসাবাদের পর আসামি সম্রাটকে কারাগারে রাখা হয়েছে।
জানা যায়, গত ১০ আগস্ট সম্রাট তার বোনকে নিয়ে সিটি সেন্টার ঘুরিয়ে দেখাতে নিয়ে আসেন। ৩২ তলার ছাদে তারা হেলিপ্যাড দেখতে যান। এরপর নেমে আসেন ১৪ তলায়। নেমে আসার পর সিকিউরিটি রুমে সম্রাট গেলে তাকে দেখতে পান না। সম্রাটের এ বক্তব্যের প্রেক্ষিতে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে সে তার বোনকে এখানে ধর্ষন করতে উদ্যত হয়। বোন রুপা বাধা দিলে এক পর্যায়ে সম্রাট তাকে হত্যা করে। হত্যার পর নিজের অপরাধ ঢাকতে বোনকে ১৪ তলা থেকে ফেলে আত্মহত্যার নাটক সাজান।
তানজিনা আক্তার রূপা থাকতেন ঢাকার দক্ষিণ গোড়ানে। আলী আহম্মেদ স্কুল অ্যান্ড কলেজে এইচএসসির শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি।