বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ আবার একটা বড় মেইল স্টোন টপকালেন আমাদের দাদা । ফের ছক্কা হাঁকালেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় । সিএবি সভাপতি থেকে ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থার সর্বোচ্চ আসনে নির্বাচিত হলেন সকলের প্রিয় সৌরভ গাঙ্গুলি । বিসিসিআই সভাপতির চেয়ার। জগমোহন ডালমিয়ার পরে ফের বাংলা থেকে বিসিসি আই -এর সভাপতির পদ অলংকৃত করছেন মহারাজা ।
বিসিসি আই -এর সভাপতির পদটা কোনভাবেই সহজলভ্য নয় । এই পদটি নিয়ে জল্পনার পাশাপাশি ছিল রোমহর্ষক উত্তেজনাও। গতকাল উত্তেজনার মাঝেই দেখা যাচ্ছিল, প্রথম দিকে ব্রিজেশ পটেল ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছিলেন । কথায় আছে শেষ ভাল যার, সব ভাল তাঁর । হ্যাঁ, ওস্তাদের মতই শেষ রাতে মার দিয়ে বেরিয়ে এলেন আমাদের মহারাজা । রবিবার মাঝরাত পর্যন্ত খবর, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিসিসিআই সভাপতি হওয়া এখন সময়ের অপেক্ষা ।
পাশাপাশি খবর, বিসিসি আই-এর যে নতুন প্যানেল তৈরি হচ্ছে, সেই নতুন প্যানেলে সৌরভ সভাপতি হওয়ার পাশাপাশি সেক্রেটারি হচ্ছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের ছেলে জয় শাহ এবং কোষাধ্যক্ষ হচ্ছেন অনুরাগ ঠাকুরের ভাই অরুণ ধুমল ।
তবে গতকালের নির্বাচনে, অনেকেই রাজনীতির গন্ধ পাচ্ছেন । কারণতা কিছুই নয়, বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের উপস্থিতি । এ কথা মিথ্যা নয়, ভারতের ক্রিকেট প্রশাসনে রাজনীতিকদের সরাসরি যুক্ত হওয়া নতুন ঘটনা নয় । প্রাক্তন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী তথা এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার দীর্ঘদিন বিসিসিআই সভাপতি ছিলেন। দিল্লি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছিলেন প্রয়াত প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। রাজনীতির ছোঁয়া থেকে বাংলাও বাদ যায়নি । একবার তো ডালমিয়াকে সিএবি প্রেসিডেন্ট হওয়া থেকে আটকাতে মাঠে নেমে পড়েন, তৎকালীন কলকাতার প্রাক্তন নগরপাল প্রসূন মুখোপাধ্যায় ।
তবে যাই হোক না কেন, প্রিন্স অফ ক্যালকাটা সৌরভ বিসিসি আই-এর সভাপতি হওয়ায়, আগামী দিনে বাংলা থেকে বেশ কিছু ক্রিকেট প্রতিভা সুযোগ পাবে বলে মনে করছেন ক্রিকেট মহল । এর আগে বহু বার বাংলা বঞ্চিত হয়েছে । সেই তালিকা অনেকটাই দীর্ঘ ।