বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ সারা দেশে যখন চাকরীর অবস্থা বেহাল, যখন দিন দিন বাড়ছে শিক্ষিত বেকারদের সংখ্যা, তখনই জেনারেলদের রাতের ঘুম উড়িয়ে SC/ST দের চাকরীর ক্ষেত্রে সংরক্ষণের মেয়াদ বাড়ানোর কথা ঘোষণা করল কেন্দ্র।
বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে সারা দেশে যে পরিমাণে শিক্ষিত বেকারদের সংখ্যা বাড়ছে তা খুবই চিন্তার বিষয়। চাকরীর পদের থেকে বেড়ে যাচ্ছে চাকরী প্রার্থীর সংখ্যা। এমত অবস্থায় তফশিলি এবং উপজাতি প্রার্থীদের সংরক্ষণ জেনারেলদের চিন্তান্বিত করছে। তবে এই সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা প্রসঙ্গে বলতে গেলে একটু পিছনে যেতে হয়। প্রাচীনকাল থেকেই আমাদের দেশে চলে আসছে জাতের নামে বজ্জাতি। কিছু মানুষ নিজেদেরকে উঁচুজাত হিসেবে প্রতিপন্ন করে অন্য মানুষদের নিচু জাত হিসেবে দেখিয়ে সব দিক দিয়ে তাদের বঞ্চিত করে রেখেছিল। কিন্তু পরিস্থিতি বদলেছে। বদলেছে শাসন ব্যবস্থা। তাই একদিন যারা শোষিত হয়েছিল তারা এখন পাচ্ছে তার মর্যাদা এবং প্রাপ্য অধিকার। ১৯৮৯ সালে রাজীব গান্ধী সরকারের আমলে প্রথম চালু হয় এই সংরক্ষণ। মূলত অস্পৃশ্যতা দূরীকরণ ছিল এর মূল লক্ষ্য। এই বিলে তাদের দেওয়া হয় একটি বিশেষ সাংবিধানিক অধিকার। যার বলে চাকরী এবং শিক্ষাক্ষেত্রে তফশিলিরা পেয়ে থাকে সংরক্ষণের অধিকার। যদিও এই সংরক্ষণের পরিসীমা নির্ধারিত করে কেন্দ্র এবং রাজ্য। এই চলতি অধিবেশনে অনগ্রসর শ্রেণীর জন্য যে সংরক্ষণের বিল পাশ হয় তাতে সংরক্ষণের মেয়াদ প্রায় ১০ বছর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। অর্থাৎ চাকরী এবং শিক্ষাক্ষেত্রে তারা ছাড় পাবে ২০৩০ সালের ২৫ শে জানুয়ারী অবধি।
এতো কিছু আইন পাশ করা সত্ত্বেও এখনও অনেক বিষয় বঞ্চিত তফশিলি এবং উপজাতিরা। ২০০৭ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত তাদের ওপর যে লাগাতার অক্রমন চলছে সেটাই প্রমাণ করে যে এই তফশিলি এবং উপজাতিরা সংরক্ষিত হয়েও সুরক্ষিত নয়।