নিজস্ব সংবাদদাতা ঃ – বাগেরহাট সদর উপজেলার ফকিরহাট থেকে নিজের মেয়েকে হত্যা করার অপরাধে আসামি মহারাজ হাওলাদার ওরফে আবুল কালাম (৫৫) কে ৯ জুলাই মঙ্গলবার গ্রেফতার হয়েছে। ফকিরহাটের সাধের বটতলা থেকে আসামি গ্রেফতার হয়। আসামীর বাড়ি পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া থানার ভেচকী গ্রামে। সে ঐ গ্রামের আলী হোসেন হাওলাদারের পুত্র।
২০০৫ সালের ৪ মে রাতে নিজের মেয়ে জেসমিন আক্তার রিঙ্কুকে গলা টিপে হত্যা করে। পরবর্তীতে খালে ফেলে দিয়ে প্রচার করে পানিতে পড়ে মারা গেছে। পরবর্তীতে স্থানীয় মঠবাড়িয়ার থানার পুলিশ কর্তৃপক্ষ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। এর পর থেকেই আসামি পলাতক ছিলেন। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আদালত মহারাজকে ফাসির আদেশ দেন।
গত ইংরেজি ০৫/০৬/২০০৭ তারিখ বিজ্ঞ আদালত আসামি মহারাজ হাওলাদারের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় অভিযোগ গঠন করেন।মঠবাড়িয়া থানার মামলা নং ১৮, তারিখ ২৫/০৯/২০০৫, জি.আর নং ১৫১/২০০৫ (মঠবাড়িয়া), সেশন মামলা নং ৫৮/২০০৭ মোকদ্দমায় গত ইংরেজি ৩০/১০/২০১৬ তারিখ অতিরিক্ত দায়রা জজ, পিরোজপুর এর বিজ্ঞ বিচারক এস এম জিললুর রহমান আসামী মহারাজ হাওলাদারকে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে তাকে মৃত্যুদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেন।
৮ বছরের শিশু কন্যা জেসমিন আক্তার রিঙ্কুর নামে পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড মঠবাড়িয়া শাখায় ১০০০ টাকা কিস্তিতে ১০ বছর মেয়াদী ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার একটি ইসলামী ডিপিএস খোলেন পাষন্ড পিতা মহারাজ হাওলাদার। যা বিগত ২০/০৪/২০০৫ ইং তারিখে ১০০০ টাকার প্রথম কিস্তি পরিশোধ করে বীমা চালু করা হয়। প্রথম কিস্তি দেওয়ার পর বিমা গ্রহীতা মারা গেলে বীমা অংকের সম্পূর্ণ টাকা পাওয়ার আশায় জেসমিন আক্তার রিংকুকে তার পাষণ্ড পিতা গলাটিপে হত্যা করে। পরবর্তীতে আসামি দীর্ঘ ১৩ বছর নিজের নাম-ঠিকানা পরিবর্তন করে নলধা-মৌভোগ অঞ্চলে বিয়ে করে বসবাস করছিলেন। তিনি এখানে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন।