বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ কোন করোনা ভ্যাকসিন ভারত ব্যবহার করবে সেটাই এখনও ঠিক হয়নি, তার পূর্বেই ঘোষণা হয়ে গেল করোনা সংক্রমণ রুখতে ভারতে কোন ভ্যাকসিন ব্যবহার করা হবে তা ঠিক হলে সেই টিকা সংগ্রহ ও সরবরাহের দায়িত্ব থাকবে কেন্দ্রের হাতেই। কোন রাজ্যকে আলাদাভাবে করোনা ভ্যাকসিনের দায়িত্ব দেওয়া হবে না ।
এই মুহূর্তে চাতক পাখির মত গোটা বিশ্ব চেয়ে আছে করোনা ভ্যাকসিনের দিকে চেয়ে । রাশিয়া মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে যদিও করোনা ভ্যাকসিন তৈরি করার কথা ঘোষণা করেছে, এবং দাবী করেছে প্রায় ২০ টি দেশ থেকে ১০০ কোটি ভ্যাকসিনের বরাদ্দ পেয়েছে তারা, তবুও অনেকেই এত দ্রুত করোনা ভ্যাকসিন বের করার জন্য রাশিয়ার ভ্যাকসিনের উপর ভরসা করে উঠতে পারছে না । এদিকে করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে কেন্দ্র জানিয়ে দিয়েছে, কোন রাজ্য আলাদা ভাবে করোনা ভ্যাকসিন আমদানি কিম্বা সংগ্রহ করতে পারবে না ।
বুধবার কেন্দ্রীয় বিশেষজ্ঞ দলের বৈঠকের পরে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে কোনও রাজ্য সরকার আলাদা করে সংগ্রহ করবে না। সাম্য রক্ষা করে দেশের সর্বত্র ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব নেবে কেন্দ্রীয় সরকার। উল্লেখ্য গত মঙ্গলবার বিশ্বের প্রথম করোনা ভ্যাকসিন আবিষ্কারের কথা রাশিয়া ঘোষণা করার পর সেই দিনেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক করোনার প্রতিষেধক সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ‘ন্যাশনাল এক্সপার্ট গ্রুপ অন ভ্যাকসিন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ নামে বিশেষজ্ঞ দল গঠন করে। বুধবার সেই দল বৈঠকে বসে।
বুধবারের বৈঠকে হাজির ছিলেন নীতি আয়োগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সদস্য ভি কে পাল। এছাড়াও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ-সহ বিশেষজ্ঞরা সম্ভাব্য ভ্যাকসিন কীভাবে দেশে সংগ্রহ ও সরবরাহ করা হবে তা নিয়ে আলোচনা করেন। এর পরেই স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, কোনও রাজ্যই যেন ভ্যাকসিন সংগ্রহের জন্য আলাদা পথ না নেয় তার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। কেন্দ্রীয় ভাবেই সাম্য বজায় রেখে দেশের সব প্রান্তে ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়া হবে।কোন ভ্যাকসিন দেশ গ্রহণ করবে সেটা ঠিক করবে ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইসারি গ্রুপ অন ইমিউনিজেশন। ভ্যাকসিন সংগ্রহের জন্য কী কী ভাবে অর্থের সংস্থান হতে পারে তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। ঠিক হয়েছে ভ্যাকসিনের কার্যকারিত নিয়ে নিশ্চিত হওয়ার পরে তা সংগ্রহ করা হবে এবং ‘কোল্ড চেন’-এর মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছানো হবে।