সময়ের সাথে হাত মিলিয়ে

দিনের পর দিন সীমান্তে চলছে জাল ব্যাবসা, ধৃত ৬

দিনের পর দিন বহুল তবিয়তে চলছে জাল আমদানি-রপ্তানি ব্যবসা এশিয়ার বৃহত্তম স্থল বন্দর পেট্রাপোল সীমান্তে।

সম্প্রতি ডিরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স(DRI) এর গোয়েন্দা সংস্থা এই চক্রের উৎখাত করে আটক করলো জন’কে। সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে যে সাধারণ জাল ব্যবসায়ী ছাড়াও কিছু সরকারি কাস্টমস অফিসার’ও এর সাথে জড়িত আছে। তাদের সম্পর্কেও বিষদ তথ্য খোঁজার চেষ্টা করছে DRI

 

তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে যে, এই জাল চক্রের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে বহু মানুষ রীতিমতো সীমান্ত পেরিয়ে এ’দেশে প্রবেশ করছে এবং জাল পরিচিতি পত্র তৈরি করে ভারতবর্ষের স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে বসবাস করছে। এছাড়াও পাওয়া গেছে জালিয়াতি ক্রয় আদেশ, জাল রপ্তানি চালান এবং ক্রয়পত্রের মতো মিথ্যা রপ্তানি নথি, যা পেট্রাপোল কাস্টমস অফিসে শিপিং বিল হিসাবে জমা করা হতো। এই শিপিং বিল ও নথি’গুলি তৈরি করা হতো পণ্য রপ্তানি করার জন্য, কিন্তু প্রকৃত পণ্য কখনও দেখানো হতনা।

 

সূত্র থেকে জানা যায়, প্রায় ৫১টি জালিয়াতি শিপিং বিল রয়েছে, যেখানে পান মশলা থেকে শুরু করে মোটরগাড়ির যন্ত্রপাতি, এবং ২৪ কোটি টাকার উচ্চ জিএসটি রিফান্ডের যোগ্য পণ্য’গুলি কাগজে রপ্তানি করা হয়েছে যার আসল রপ্তানিমূল্য ১০-১২ কোটি টাকার কাছাকাছি ছিল। এছাড়াও, নথিতে বাংলাদেশ সরকারের সীল দেখা যাচ্ছে যা মিথ্যা বলে সন্দেহ করা হয়।

 

গত শুক্রবার এই ধরপাকড়ের সময় DRI এর সদস্যরা সুজিত সোনারকার, সজল সোনারকার, দীপঙ্কর পাল, শুভঙ্কর পাল, অর্জুন অধ্যক্ষ প্রসেনজিৎ দাস নামক জন’কে গ্রেফতার করেছে, যারা পেট্রাপোল সীমান্তবর্তী জালিয়াতিতে প্রধান ভূমিকা পালন করেছে। এছাড়া কাস্টমস বিভাগের যে জন অফিসার’কে এই চক্রে জড়িত হিসেবে জানা গেছে, তাদের’কে চাকরী থেকে বহিষ্কার করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে এবং তাদের শাস্তি নিয়ে চিন্তা-ভাবনা চলছে।

 

 

মন্তব্য
Loading...