বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ বাংলাদেশের সুন্দরী চিত্র নায়িকা এবং চিত্র তারকা শাকিব খানের প্রাক্তন স্ত্রী অপু বিশ্বাসের নামে আদালতে চেক প্রতারণার অভিযোগে উঠেছে। অপু বিশ্বাসের নামে প্রতারনার অভিযোগের খবর বাংলাদেশে বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে । ইতিমধ্যে আদালত থেকে চিত্র নায়িকাকে নোটিশও পাঠানো হয়েছে বলে খবর ।
চিত্র নায়িকা অপু বিশ্বাসের নামে এক ব্যবসায়ী লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে । জানা গেছে, বাদশাহ বুলবুল নামে এক ব্যবসায়ীকে অপু বিশ্বাস একটি চেক প্রদান করে । কিন্তু সেই চেক ব্যাঙ্কে জমা দিতে গেলে বাউন্স করে অপু বিশ্বাসের অ্যাকাউন্টে যথেষ্ট পরিমাণে ব্যালান্স না থাকায় । এই মর্মে উক্ত ব্যবসায়ী বাদশাহ বুলবুল লিগ্যাল নোটিশও পাঠিয়েছেন । ঢাকা জজ কোর্টের অ্যাডভোকেট মো. মুনজুর আলমের মাধ্যমে এ নোটিশ অপু বিশ্বাসের কাছে পৌঁছায়। এছাড়া আগামী ৩০ দিনের মধ্যে সব অর্থ পরিশোধের জন্য নায়িকাকে বলা হয়েছে। তা না হলে অপু বিশ্বাসের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে বলেও নোটিশে হুমকি দেওয়া হয়েছে।
এদিকে প্রতারনার দায়ে অভিযুক্ত অপু বিশ্বাসের মতামত জানতে চাওয়া হলে দেখা যায় ব্যবসায়ী বাদশাহ বুলবুল এবং অপু বিশ্বাসের বক্তব্য সম্পূর্ণ ভিন্ন । বাদশাহ বুলবুলের ওই লিগ্যাল নোটিশে বলা হয়েছে, বাদশাহ বুলবুলের সঙ্গে অপু বিশ্বাসের সুসম্পর্ক ছিল। সেই সুবাদে প্লট ক্রয়ের কিস্তি পরিশোধ, ব্যক্তিগত গাড়ি ও ফ্ল্যাট ক্রয়ের জন্য অপু ওই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা ঋণ নেন। গত ৭ জুলাই সে ঋণ পরিশোধের অংশ হিসেবে ৫ লাখ টাকার একটি চেক দিলেও অ্যাকাউন্টে প্রয়োজনীয় অর্থ না থাকায় সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সেটি ফেরত দিয়েছে। বিষয়টি অপুকে জানানো হলে তিনি কালক্ষেপণ করতে থাকেন এবং এক পর্যায়ে ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন বলে দাবি করা হয়েছে।
এদিকে অপু বিশ্বাস এ বিষয়ে জানিয়েছেন, ঘটনা আসলে এরকম নয়। তার সাবেক স্বামী চিত্রনায়ক শাকিব খানের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর কিছুটা অর্থকষ্টের মুখে পড়েছিলেন তিনি। তখন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন নতুন কিছু করার। তাই বগুড়ায় তাদের পারিবারিক কিছু সম্পদ বিক্রি করে এ বাদশাহ বুলবুলের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ব্যবসা শুরু করেন অপু। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যে তার আচার-আচরণে সন্দেহ দানা বাধে। এমনকি তিনি অশালীন আচরণও শুরু করেন বলে দাবি করেন অভিনেত্রী। তাই তিনি সিদ্ধান্ত নেন তার সঙ্গে ব্যবসা গুটিয়ে ফেলার।কিন্তু ওই সময় ব্যবসায় ঠিকমতো সময় দিতে না পারায় তিনি ২/৩টি চেকবইয়ে স্বাক্ষর করে রাখেন ভবিষ্যতে ব্যবসায়িক যে কোনো কাজের জন্য।অপু বিশ্বাস দাবি করেন, সে চেকগুলো দিয়ে এ ঘটনাটি সাজানো হয়েছে। এছাড়া এ চেক ইস্যু নিয়ে ওই সময় তিনি গুলশান থানায় জিডি করেও রেখেছেন বলে জানান অভিনেত্রী।