বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ এবারে শিশুদের স্কুলে ভর্তি হওয়ার নিয়মের হল বড়সড় পরিবর্তন। জাতীয় শিক্ষা নীতিতে কেন্দ্র সরকার এই কথা ঘোষণা করেছেন এবং সংসদে বিল পাশ হলেই সারা দেশে কার্যকর হয়ে যাবে স্কুল শিক্ষায় এই পরিবর্তন। সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে যে, তিন বছর বয়স হলেই শিশুকে ভর্তি করে দিতে হবে স্কুলে।
শহরের ক্ষেত্রে তিন বছরের আগে কিন্ডার গার্ডেন বা প্লে স্কুলে বাচ্চাদের প্রাথমিক ভাবে ভর্তি করা হয়। তারপর তারা যায় স্কুলে পঠন পাঠনের জন্য। তবে পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন সরকারি স্কুলে প্রাক প্রাথমিক শিক্ষাদানের ব্যবস্থা থাকলেও পরিকাঠামো এবং শিক্ষকের অভাবে সেই ব্যবস্থা কার্যকর করা যায়নি।
তবে সংসদে জাতীয় শিক্ষানীতি আইন পাশ হয়ে গেলে সব রাজ্যকেই এই নীতি মেনে চলতে হবে। এই নতুন আইনে শিক্ষাকে আবারও পুনর্গঠন করা হবে, এই আইনে বলা হয়েছে ৩-৮ বছর প্রাক প্রাথমিক থেকে দ্বিতীয় শ্রেণী হল ফাউন্ডেশানাল। ৮-১১ বছর, ৩য় থেকে ৫ম শ্রেনী, প্রিপারেটরি, ১১-১৪ বছর, ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেনী হল মিডল এবং ১৪-১৮ বছর, ৯ম থেকে ১০ম হল উচ্চ পর্যায়। যদিও উচ্চ বা হাই পর্যায়কে ৯ম ১০ম এবং ১১দশ ১২দশ ভাগে ভাগ করা হবে বলে জানা গেছে।
বর্তমানে প্রাক প্রাথমিক, প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক স্তরে শিক্ষাদান করা হয়, কিন্তু “শিক্ষার অধিকার আইন” চালু হলে সকল ভাগই আবশ্যিক এবং অবৈতনিক হিসেবে স্বীকৃতি পাবে। এই নীতি “আর্লি চাইল্ড হুড কেয়ার অ্যান্ড এডুকেশনে” জোড় দিচ্ছে। স্কুলের শুরুতেই যাতে শিশুদের চারিত্র গঠন করা যায় সেই ক্ষেত্রে প্রাক প্রাথমিকে বাচ্চাদের কিছু শিক্ষার ক্ষেত্রে জোড় দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে খেলাধুলা, সৌজন্য, নীতি, মূল্যবোধ, পরিচ্ছন্বতা, একতা শেখানো হবে।
যদিও এই বিষয় অনেকে অনেক মত পোষণ করছেন। এই বিষয় CPI এর শিক্ষক সংগঠনের নেতা স্বপন মণ্ডল বলেন,” এতো শিশুকে প্রাক প্রাথমিকের আয়ত্তায় আনতে বিপুল পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন। কেন্দ্রীয় সরকার তার দায়িত্ব নেবে কিনা সে বিষয় কিছু জানা জায়নি। এই পরিকল্পনার মাঝে স্কুল শিক্ষায় বেসরকারি করণ যাতে না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।”