বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: গত ৪ সেপ্টেম্বর বুধবার রাতে আবুল কালাম মতিঝিল থানায় ছিনতাইয়ের একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১০ লাখ টাকা ছিনতাইচেষ্টায় বংশাল থানার কনস্টেবল মামুনসহ তিনজনের নাম উল্ল্যেখ করা হয়। মামলায় মামুন ও জিতুর নাম উল্ল্যেখ করা হলেও একজন অজ্ঞাতনামা রয়েছে।
মামলার বিষয়ে মতিঝিল থানার পক্ষ থেকে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সংবাদ মাধ্যমদের জানান, আবুল কালাম নামে এক ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাইচেষ্টার ঘটনায় বংশাল থানার কনস্টেবল মামুনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলমান রয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনাটি ছিনতাইচেষ্টা বলে প্রতীয়মান হয়েছে।
প্রসঙ্গত গত বুধবার বিকালে মতিঝিল এনআরবিসি ব্যাংক থেকে আবুল কালাম ১০ লাখ টাকা তুলে বের হন। এরপরেই ব্যাংকের সামনে থেকে পুলিশ পরিচয়ে আবুল কালামকে জোর করে মোটরসাইকেলে উঠিয়ে নেন বংশাল থানার কনস্টেবল মামুন ও জিতু। মামুন মোটরসাইকেল চালাতে থাকেন, আর কালামকে মাঝখানে রেখে পেছনে বসেন জিতু।
পুলিশের মোটরসাইকেল মোহামেডান ক্লাবের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় পেছনে বসা জিতু কালামের ব্যাগটি টানতে শুরু করেন। এসময় কালাম ‘ছিনতাইকারী’ বলে চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন মোটরসাইকেলটির গতিরোধ করে। এই ফাঁকে জিতু পেছন থেকে কালামের মাথায় আঘাত করে পালিয়ে যায়। তখন উপস্থিত জনতা মামুনকে গণধোলাই দেয়।
স্থানীয়দের মারধরের সময়ে মামুন নিজেকে নিজেকে পুলিশ সদস্য হিসেবে পরিচয় দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে মতিঝিল থানার পুলিশ উপস্থিত হয়ে আহত কালাম ও মামুনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠায় এবং কালামের কাছে থাকা টাকার ব্যাগ হেফাজতে নেয়।
মতিঝিল থানার ওসির তথ্য মোতাবেক কনস্টেবল মামুন জানায়, আবুল কালামের কাছে তার এক বন্ধু সাড়ে তিন লাখ টাকা পাবে। সেই টাকা পরিশোধ না করায় কালামের কাছ থেকে টাকা আদায়ের চেষ্টা করছিলেন তিনি। কিন্তু প্রাথমিকভাবে তার এ বক্তব্যের কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।