বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের মত অপর এক বিজেপি নেতা এবার সরাসরি এনকাউন্টারের হুমকি দিলেন বীরভূমের তৃনমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে । পাশাপাশি কালনা থানা আবার জ্বালিয়ে দেবার হুমকি দিলেন । এভাবেই ‘ক্ষমতায় এলে বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল, রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথকে বিকাশ দুবের মতো নেতাকে এনকাউন্টারের হুমকি দিয়ে বিজেপি রাজ্য সম্পাদক রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় বিতর্কে জড়ালেন নিজের নাম ।
গতকাল মঙ্গলবার বিজেপি রাজ্য সম্পাদক রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে কালনা বিধানসভার অন্তর্গত পাথরঘাটা গ্রামের বাসিন্দা রবীন পালের নৃশংস হত্যা ও কদম্বা গ্রামের বিজেপি কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগের প্রতিবাদ জানাতে মঙ্গলবার কালনা থানা ঘেরাও করে বিজেপি। সেখানেই একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য এবং হুমকি প্রদান করেন রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় ।
মঙ্গলবার থানার সামনে রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় হুমকি দিয়ে জানান, “পুলিশ সঠিক দোষীকে গ্রেফতার করতে পারছে না। সাহস নেই। আমরা চার দিন সময় দিয়েছি। যদি প্রকৃত দোষী গ্রেফতার না হয়, তাহলে তারপর কালনা থানায় কিছু হলে আমাদের কেউ কিছু বলবেন না। আমরা জানি না, কালনায় থানায় তারপর কী হবে।”
এখানেই থেমে না থেকে একের পর এক তৃনমূল নেতার নাম উল্লেখ করে তিনি এনকাউন্টারের হুমকি দেন তিনি বলেন, “অনেক সহ্য করেছি। এবার স্বপন দেবনাথই হোক আর অনুব্রত মণ্ডলই হোক, বিকাশ দুবে হয়ে যাবেন সবাই।” উল্লেখ্য, ১০ জুলাই পুলিশি এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় উত্তরপ্রদেশের গ্যাংস্টার বিকাশ দুবের। বিকাশ দুবের এনকাউন্টারে পুলিশের দাবি, গাড়ি উল্টে যাওয়ায় পুলিশের বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে বিকাশ দুবে। সেই সময় পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় গ্যাংস্টারের।
চলতি মাসের ৫ সেপ্টেম্বর ১০০ দিনের প্রকল্পের অধীনে রাস্তায় কাজ চলাকালীন গাছের ডাল কাটায় বাধা দেওয়া ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় পূর্ব বর্ধমানের কালনার পাথরঘাটা গ্রামে। বাকবিতণ্ডার মধ্যেই এক শ্রমিককে হাঁসুয়া দিয়ে কোপ মারেন স্থানীয় রবিন পাল নামে এক ব্যক্তি । এরপর প্রকল্পের কাজে যুক্ত শ্রমিকদের গণপ্রহারে হাসপাতালে মৃত্যু হয় রবীন পাল নামে ওই ব্যক্তির।
বিজেপি দাবি করে রবিন পাল বিজেপির লোক । তৃণমূলের সমর্থকরাই পরিকল্পনা করে খুন করেছে রবীনকে। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত তৃণমূল পরিচালিত স্থানীয় পঞ্চায়েতের উপপ্রধানকে গ্রেপ্তার করার দাবীতে মঙ্গলবার কালনা বাসস্ট্যান্ডের কাছে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে বিজেপি। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দু’পক্ষের বেশ কয়েকজন গ্রেফতার হয়েছে । রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের থানা জ্বালিয়ে দেওয়া এবং নাম উল্লেখ করে তৃনমূল নেতাদের এনকাউন্টারের হুমকি বিতর্ক সৃষ্টি করেছে ।