বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ আমরণ অনশনের ধর্না মঞ্চ থেকে মরণোত্তর দেহ দানের পথে পার্শ্ব শিক্ষকরা।রাজ্য সরকার শিক্ষক নিয়োগ পদ্ধতিকে ঘিরে ওঠা অপ্রীতিকর পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুললো পার্শ্বশিক্ষকদের এই মরণোত্তর দেহ দানের সিদ্ধান্ত।
পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষক নিয়োগ পদ্ধতিকে ঘিরে রোজই আসছে কোননা কোনও চাঞ্চল্যকর খবর। এবারে পার্শ্বশিক্ষকরা তাঁদের আর্জিকে নিয়ে গিয়েছে একেবারে চরম পর্যায়। তাঁদের দাবী হল, স্থায়ীকরণ এবং বেতন বৃদ্ধি। আর এই স্থায়িকরনের দাবীতে টানা ৮ দিন ধরে একনাগাড়ে লাগাতার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন পার্শ্ব শিক্ষকদের একাংশ। তিনদিন অতিক্রান্ত হলেও তাঁরা তাঁদের দাবী থেকে এক চুলও নড়েননি। অনির্দিষ্ট কালের জন্য তাঁরা এই ধর্না আর আমরণ অনশনের ডাক দিয়েছেন। আর এই অনশন এবং ধর্না মঞ্চ থেকে রাজ্য সরকারকে তাঁরা একরকম চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন মরণোত্তর দেহ দানের ডাক দিয়ে।
পার্শ্ব শিক্ষক সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে যে, তাঁরা তাঁদের ন্যায্য দাবী আদায়ের লক্ষে স্থির আছেন এবং দীর্ঘ অনশনের ফলে কার্যত দুর্বল হয়ে পড়ছে তাঁদের শরীর। আর এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে তাঁরা এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই পরিস্থিতি ব্যাখা করতে গিয়ে পার্শ্ব শিক্ষক ঐক্য মঞ্চের আহ্বায়ক ভগীরথ ঘোষ জানান, “অনশন করতে গিয়ে আমাদের তিনজন সঙ্গী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তিনজনের অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল। টানা অনশন চালিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লেও তিনজন পার্শ্ব শিক্ষক হাসপাতালে দাবী করেছেন, তাঁরা কোনও স্যালাইন নেবেন না। কারণ তাঁরা মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত। তাঁদের জন্য পার্শ্ব শিক্ষক ঐক্য মঞ্চ গর্বিত। এই তিনজন শিক্ষক অসুস্থ হয়েও যে লড়াকু মানসিকতা দেখিয়েছেন, সেটাই আমাদের ভরসা। আমরা আমাদের শেষ রক্তবিন্দু দিয়েও অধিকারের লড়াই চালিয়ে যাব।”
এই আমরণ অনশনের সাথে সাথে তাঁরা স্কুলও বয়কটের ডাক দিয়েছেন। এছাড়াও তাঁরা সরকারকে জানিয়ে দিয়েছেন যে সরকার তাঁদের যতটা সাহায্য করবে ততটাই তাঁরা সাহায্য করবে সরকারকে। তাঁরা আরও জানিয়েছেন যে সরকার যদি চায় তবে তাঁরা আলোচনায় বসতে প্রস্তুত।