ধর্ম সাধারণ মানুষের কাছে সাধনার মতো। অতি প্রাচীনকাল থেকেই এই ধর্ম সাধারণ মানুষের কাছে উৎসবের এক নাম, কখনও আতঙ্কের আরেক নাম।ধর্ম কখনও মানুষকে করেছে সঙ্গবদ্ধ কখনও করেছে বিভক্ত।তারই সাক্ষী হয়ে রইল শ্রীলঙ্কা।
গত সপ্তাহে ইস্টার সাণ্ডের দিন শ্রীলঙ্কায় ঘটেছিল ভয়ঙ্কর আতঙ্কবাদী হামলা। সেই সিরিজ বোমা হামলায় মারা গেছিল ৩০০ র বেশী লোক, আহত হয়েছিল ৫০০ র বেশী মানুষ। এই আতঙ্কবাদীরা ছিল একটি মুসলিম সংগঠনের।
এই হামলার কিছুদিনের মধ্যেই আরেকটি সন্ত্রাসবাদী হামলার ছক কষেছিল এই জঙ্গি সংগঠন। আর এই হামলা সম্পর্কে প্রথম সতর্কতা আসলো একজন মুসলিম যুবকের কাছ থেকে। যার জের ধরেই গত শুক্রবার ১৫ জন সন্ত্রাসবাদীকে গুলি করে হত্যা করে নিরাপত্তা বাহিনী। এই সংবাদ প্রকাশ করে একটি নিউজ চ্যানেল।
গত শুক্রবার লোহার পুলের পাশে একটি বাড়ির ভেতর রাইফেল হাতে একজনকে দাড়িয়ে থাকতে দেখে সন্দেহ হয় ওই মুসলিম যুবকের এবং এই ঘটনা তার বন্ধুদের জানালে সকলে মিলে তার পরিচয়পত্র চায়। স্থানীয় তরুণদের জেরার মুখে সেই সন্দেহভাজন কোণঠাসা হয়ে পড়লে হঠাৎ করে বাড়ির ভেতর থেকে আরেকজন গুলি ছোঁড়ে। বিপদ বুঝে কাছা কাছি মসজিদ সমিতিকে ঘটনাটি জানলে সবাই মিলে বাড়ির ওপর চরাও হলে আচমকা ভেতর থেকে ভিড় লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ শুরু হয়। এরপর পুলিশ এবং সেনাবাহিনী বাড়িটাকে ঘিরে ফেললে আত্মগোপনকারী জঙ্গিদের সাথে গুলি বিনিময় শুরু হয় তাতে শিশু সহ ১৫ জন নিহত হয়।
জানা যায়, ইস্টার হামলার পর শ্রীলঙ্কায় ফের সন্ত্রাসবাদী হামলার ছক সাজিয়েছিল জঙ্গি নেতা জাহারান হাশিম।তবে স্বস্তির কথা হল এই সংঘর্ষে নিহত হয় জঙ্গি নেতার বাবা ও ভাই।