বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: মি-টু আন্দোলন বা #মিটু আন্দোলন যা সমস্ত ভারত বাংলাদেশ জুড়ে একটি আলোচিত বিষয়। মূলত চলচ্চিত্রের তীর্থস্থান হলিউড থেকে এই ‘মি-টু’ আন্দোলন শুরু হয়। তারপর থেকে এর হলকা বয়ে যাচ্ছে উপমহাদেশের জনপ্রিয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি বলিউডে।
বলিউড থেকে বাংলাদেশে এ আন্দোলন কিছুটা ছড়ালেও লজ্জার ভয়ে তেমন করে ভূমিকা রাখতে পারেননি। নারীদের যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে সারা পৃথিবীতে শুরু হয়েছে ‘#মিটু’ আন্দোলন। আন্দোলন এমনই পর্যায়ে যে গুগল একটি ম্যাপও তৈরি করেছে।
বলিউডে #মিটু আন্দোলনে নারী হেনস্থাকারী হিসাবে পরিচালক সুভাষ কাপুরের নাম আসে। সুভাষ কাপুরের সঙ্গে আমির খান কাজ করার ঘোষণা দেওয়ার পর যৌন হেনস্থার স্বীকার তনুশ্রী দত্ত মুখ খুললেন। তনুশ্রী দত্ত আমির খানকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আমার জন্য কোন সহানুভূতি কাজ করে না, আমির?’
তনুশ্রী তার বিবৃতি বলেন, “বলিউডে উঠতি সময়ে যখন একজন সম্ভাবনাময় অভিনেত্রী যৌন হেনস্থার শিকার হয়, আর যখন তিনি অপমান, মানসিক অবষাদ ও ট্রমার মধ্য দিয়ে যান তখন কেউ দুশ্চিন্তায় নির্ঘুম রাত কাটান না কেন? যে সকল প্রতিশ্রুতিশীল নারী সম্ভাবনাময় ক্যারিয়ারের যাত্রা শুরু করেও কর্মক্ষেত্রে হেনস্থার কারণে হারিয়ে যান, তাদের জীবন-জীবিকার কথা চিন্তা করেন না কেন? #মিটু অভিযুক্তদের প্রতি চারপাশে অনেক সহানুভূতি দেখা যায়। কিন্তু হেনস্থার শিকার নারীদের প্রতি কোন সহানুভূতি দেখা যায় না।“
উল্লেখ্য এই তনুশ্রী দত্ত হর্ন ওকে প্লিজ সিনেমার শুটিংয়ের সময় নানা পাটেকরের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তোলেন। মিটু আন্দোলনের ফলে সুভাষ কাপুরের সিনেমায় কোন প্রকার কাজ করবেন না আমির খান জানিয়েছিলেন। কিন্তু আমির খান কয়েকদিন আগে হিন্দুস্তান টাইমসে এক সাক্ষাতকারে বলেন, “তিনি তার সিদ্ধান্ত পুনর্মূল্যায়ন করেছেন। ‘মুঘল’ সিনেমার কাজ শুরু করছেন তিনি। পরিচালক সুভাষের সঙ্গে সিনেমাটিতে তিনি গুলশান কুমার চরিত্রে অভিনয় করবেন। তবে এই সিদ্ধান্তের পরও তিনি #মিটু আন্দোলনকে সমর্থন করেন বলেও জানিয়েছেন।“
তবে আমির খানের এই সিদ্ধান্তে তনুশ্রীর এই মানবিকতার প্রশ্ন আমির খানের বিবেকে কি আঘাত করবে কিনা তা জানা যায় না।