বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: মেয়ে jযে, কখনো মাতৃ রূপে, আবার কখনো কণ্যা, কখনো বা বোন আবার কখনো কামনা বস্তু হিসাবে দেখা হয়। যে মেয়ে সারাদিন খাটুনি খেটে অপেক্ষা করে, তাকে অপয়া বদনামও শুনতে হয়। আবার কখনো সেই মেয়ে অস্ত্র হাতে অসুর নিধন করে আমরা তখন মাতৃরূপে, দেবী রূপে পূজা করি।অনেক সময় ঘরে কণ্যা সন্তান জন্ম নিলে আনন্দ করি না, আবার সেই মেয়ে আমাদের ও আমাদের প্রকৃতির সৃষ্ঠি।
বর্তমান যুগে “নারী পুরুষ সমানাধিকার” হিসাবে বলা হয় । কিন্তু আমাদের মত দেশে এখনও মেয়েদের ‘অবলা নারী”আখ্যা দেওয়া হয়ে থাকে । আমরা অনেকেই মেয়েদের ও ছেলেদের সমান আসনে বসাতে পারি না । একটু গ্রামাঞ্চলে গেলে দেখতে পাওয়া যাবে, বিয়ের আগে মেয়েদের অনেকটা ভোগ্য পণ্যের মত যাচাই করে তুল্য মূল্য বিচার করে বাছাই করা হয় । এখনও দেখতে পাওয়া যায়, অনেকগুলো লোকের সামনে সেজে তাকে বসতে হয়। বয়স্ক মানুষরা সেই মেয়ের চুল দেখে, আবার বলে ‘হেটে দেখাও তো মা’ ইত্যাদি । কারণ প্রতিটা মানুষ চায় তার পরিবারে একজন লক্ষী আসুক বা পরিবারে লক্ষী আনতে হবে।লক্ষী আনতে গিয়ে তারা অলক্ষী আনতে চান না। তারা গান শোনেন, কারণ বোঝার চেষ্টা করেন সে কি ঝগড়া করে, না মধুর ব্যবহার করে । সেই চিরাচরিত প্রথার কয়েকটি দিক, যা দেখে মনে করা হয়, কোন মেয়ে তার পরিবার, স্বামীর জন্য সমৃদ্ধি বয়ে আনবে । কোন মেয়ে সৌভাগ্যশালী ? সাধারনভাবে সৌভাগ্যশালী লক্ষ্মী বা স্বরস্বতী হতে একটি মেয়ের শরীরের যে দিক গুলো দেখা হয়-
চুল:
নারী পুরুষকে সমান আসনে বসানো হলেও, একজন মেয়ের উপরে বেশীরভাগ ক্ষেত্রে নির্ভর করে সংসারের সুখ শান্তি । কারন একজন মেয়ে চাকরী করলেও সংসারের হাল ধরে সে । সাধারনভাবে মনে করা হয়, যেসব মহিলাদের লম্বা চুল হয়, তাদের মনে করা হয় পরিবারের সৌভাগ্যশালী। এসব মহিলারা যে পরিবারে থাকেন তাদের আর্থিক অনটন হয়না । জীবনান্দ দাশের ভাষায়, “চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা, মুখ তার শ্রাবস্তীর কারুকার্য” । সুতরাং একজন দীর্ঘ এবং ঘন চুলের অধিকারিণীকে সৌভাগ্যবতী বলা চলে ।
চোখ:
একজন নারীর বিশেষত্ব তার চুলের পড়ে চোখের উপরে অনেকটাই নির্ভর করে ।সাধারনভাবে চোখ যদি হয় হরিণীর মত, এবং বড়, তাহলে বুঝতে হবে বিবাহের পর সে তার স্বামীকে ভালবাসবে ।তার বিশ্বাসযোগ্যতা থাকবে । ধরে নেওয়া হয়, সে তার স্বামীকে ঠকাবে না। আর কথায় বলে, “চোখের প্রেমে কে না পড়ে?” তাই চোখে চোখ রাখতে না পারলেও দোষ নেই। পটল চেরা চোখ নিয়ে আসবে সৌভাগ্য।
নাক:
একজন মানুষের মুখশ্রীর সৌন্দর্য নাকের উপর নির্ভর করে । আর মহিলাদের ক্ষেত্রে হলে তো কথাই নেই । “লম্বা নাকের যে কোন মানুষ দেখতে সুন্দর হয়” এ নিয়ে মতবিরোধ থাকতে পারে।তবে নাক গথন হিসাবে অনেক ধরনের হয়- সুচালো নাক, থ্যাবড়া নাক আরো কত কি? কথায়বলে “তার নাক উঁচু” – মানে সে উন্নাসিক । তবে মহিলাদের ক্ষেত্রে দেখা যায়, লম্বা নাকের মহিলারা শান্ত হয়ে থাকেন। এদের মধ্যে মিতব্যায়িতা লক্ষ্য করা যায় । এদের মধ্যে বাজে টাকা খরচ করার প্রবণতা কম।
গলা:
বলা হয়ে থাকে যে সব মহিলাদের গলা লম্বা তারা সৌভাগ্যবর্তী হন। লম্বা গলায় মালাও ভারি মানায়। গলায় যদি থাকে গন্ডগোল তাহলে তো পরিবারে লক্ষ্মী কোন পথে পালাবে খুজেই পাওয়া যাবে না।
আঙ্গুল:
হাতের বা পায়ের আঙুল দেখেও একজন মহিলার বৈশিষ্ট্য বোঝা যায় । যে সমস্ত মহিলাদের হাতের ও পায়ের আঙুল লম্বা এবংনরম, ধরে নেওয়া যেতে পারে সেই আঙ্গুলের মহিলারা বুদ্ধিমতী ।
হাত ও পায়ের পাতার রংঃ
মহিলারা সাধারনত একজন পুরুষের মত কায়িক পরিশ্রম করতে পারে না, কিন্ত সংসারের সমস্ত দায় দায়িত্ব তাদের কাঁধে থাকে । একজন সৌভাগ্যবতী মহিলার হাতের ও পায়ের তালু নরম, একটু উঁচু এবং গোলাপি রঙের হয় ।