বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃমাধ্যমিকের সিলেবাসে হতে চলেছে এক আমূল পরিবর্তন। এবার নতুন সিলেবাসে বায়োলজি বিভাগে যুক্ত হচ্ছে সাপ বিষয়ক নতুন এক অধ্যায় ।
মাধ্যমিকের সিলেবাসের এই রদবদল যেমন আবিশ্বাস্য তেমনই সংলগ্নও বটে।পশ্চিমবঙ্গের জেলা স্তরের স্কুল গুলিতে যেসব ছাত্র ছাত্রীরা সাধারণত ভর্তি হয় তারা বেশীরভাগই আসে প্রত্যন্ত গ্রাম বা মফঃস্বল থেকে।তারা বিভিন্ন সাপ বা সরীসৃপ সম্পর্কে অবগত হলেও পুরোপুরি ধারণা তাদের নেই কোনটা বিষাক্ত এবং কোনটা সাধারণ সাপ।রাজ্যে সাপের কামড়ে মৃত্যুর বেশির ভাগই হয় ভয়ে, বিষক্রিয়াতে নয়।ছাত্র ছাত্রীরা সচেতন হলে তাদের অভিভাবক এবং সমাজের অন্যান্য স্তরে তারাই এইসব বিষয় সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে পাড়বে।
এছাড়াও শহর বা শহরতলি এলাকার ছাত্র ছাত্রীরা বেশীরভাগই রাজ্যের সরীসৃপ বা সাপ বিষয় অবগত নয়।এইসব বিষয়ের কথা মাথায় রেখে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের মাধ্যমিকের সিলেবাসে এই নতুন অধ্যায় যুক্ত হতে চলেছে।এছাড়াও শিক্ষকরা মনে করেন জীববৈচিত্রের ভারসাম্য রক্ষায় সাপ বা অন্য সরীসৃপদের ভুমকা কি এবং কোন সাপের কামড়ে কি করা উচিৎ সেটা ছাত্র ছাত্রীদের জানা প্রয়োজন।এইসব বিষয়ের কথা মাথায় রেখে এবং আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তারদের সাথে পরামর্শ করে সিলেবাসে রদবদল হয়েছে বলে জানান সিলেবাস কমিটির চেয়ারম্যান অভিক মজুমদার।
পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গাঙ্গুলি বলেন,” সিলেবাস কমিটির সাপ সংক্রান্ত পরিচ্ছেদ চালু করার সিদ্ধান্ত সেদিকে একটি পদক্ষেপ।” এখন ছাত্র ছাত্রীরা এই নতুন সিলেবাসকে কিভাবে নেবে সেটাই দেখার।তবুও আশা করা যাচ্ছে এই রদবদল শিক্ষক এবং ছাত্র ছাত্রীদের পক্ষেই যাবে।”