বিট্রিশদের হাতে তৈরি হয় ক্কিনব্রিজ। যা সিলেটের ঐত্যেহের সাথে মিশে আছে। সিলেটের প্রবেশদ্বার হিসাবে ক্কিনব্রিজ পরিচিত। লোহা দিয়ে ধনুকের মত বাকানো সেতুটি সুরমা নদীর উপর স্থাপিত। ১৯৩৩ সালে তৎকালীন আসাম প্রদেশের গর্ভনর মাইকেল ক্কিনের নামে ব্রিজটি। ৮৬ বছরের ব্রিজটির রয়েছে ঐতিহাসিক গুরুত্ব একই সাথে পর্যটন নগরী সিলেটের পর্যটকদের করে আকর্ষন। তখনকার আসাম সরকারের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের সদস্য রায় বাহাদুর প্রমোদচন্দ্র দত্ত সিআইই এবং শিক্ষামন্ত্র আব্দুল হামিদের প্রচেষ্টায় এই ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়।
সম্পূর্ণ লোহায় তৈরি ব্রিজটির দৈর্ঘ্য ১১৫০ ফুট ও প্রস্থ ১৮ ফুট; সেসময়ে ব্রিজটি তৈরিতে ব্যয় হয় ৫৬ লক্ষ টাকা। ১৯৩৬ সালে ব্রিজটি চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। ব্রিজটি চলাচলের কোন বাঁধা না থাকায় এবং ১৯৭১ সালে হানাদার বাহিনীর ডিনামাইটে ক্ষতিগ্রস্থ হয় ব্রিজটি। ক্ষতিগ্রস্থ ব্রিজটিকে ১৯৭৭ সালে মেরামত করে হালকা যানবাহন ও পথচারীদের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। এই ক্কিন ব্রিজের পাশে সিলেট নগরীতে প্রবেশের অন্য ব্রিজ থাকলেও এ ব্রিজটির গুরুত্ব অনেক বেশী।
ব্রিজটিতে চলাচলের ঝুকি বাড়ায় বর্তমান বৎসরে ৩ বার মেরামত করতে হয় একই সাথে অতিরিক্ত মালবাহী গাড়ী, ভারী যানচলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। আগামি সেপেটেম্বর মাসে অধিকতর সংস্কারে উদ্যেগ নেওয়া হয়েছে। এজন্য সকল ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। শুধুমাত্র পায়ে হেটে যাতায়াত করা যাবে।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের তথ্য মতে, ব্রিজটি সংস্কারের উদ্যোগের জন্যই ১ সেপ্টেম্বর থেকে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হবে। শুধুমাত্র পায়ে হেঁটে ব্রিজ দিয়ে যাতায়াত করা যাবে। ক্বিনব্রিজ সংস্কারের কাজ শেষ হলে এটি যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হতে পারে। তবে এমনও হতে পারে, ঐতিহ্য বাঁচিয়ে রাখতে এ ব্রিজ দিয়ে যানবাহন চলাচল একেবারে বন্ধ করে দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে কাজীরবাজার সেতু দিয়ে যাতে সব ধরনের যানবাহনের চলাচল করতে পারে, সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।