বর্তমানে গ্রীষ্মের প্রচণ্ড দাবদাহে সাধারণ মানুষের পক্ষে বাড়ি থেকে রাস্তায় বেড়োনো এককথায় অসম্ভব হয়ে দাড়িয়েছে। বাংলা, বিহার, উড়িষ্যা’র মতো রোদের তীব্রতা বেড়েছে গোটা উত্তরপ্রদেশেও। লোকসভা নির্বাচনের কারণে রাজনৈতিক উত্তাপ যেমন বেড়েছে, একইসাথে হাওয়ার তাপমাত্রাও বেড়ে চল্লিশের কাছে পৌঁছে গেছে বলে জানা যাচ্ছে।
এরই মধ্যে অবাক করার মতো কাজ করে বসলেন উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন মন্দিরের পুরোহিতগণ। তাঁদের দাবি অনুযায়ী প্রচণ্ড গরমের কারণে দেব-দেবী’দের পক্ষে মন্দিরে থাকা সম্ভবপর হচ্ছেনা। এই কারণে প্রদেশের বেশ কিছু মন্দিরে দেবতা’দের জন্য এসি ফ্যান-এর ব্যবস্থা করছেন পুরোহিত’রা।
এমনকি মন্দিরে এসি লাগাবার উদ্দেশ্যে কানপুর শহরে ভক্তদের কাছ থেকে পুরোহিত’রা চাঁদা আদায় করছেন বলেও জানা গেছে। এপ্রসঙ্গে কানপুরের সিদ্ধিবিনায়ক গণেশ মন্দিরের প্রধান পুরোহিত সুরজিত কুমার দুবে বলছেন, “ভগবানেরও তো গরম লাগে। দেবতারাও আমাদের মতো কষ্ট পান। তাই মন্দিরের পরিবেশ ঠাণ্ডা রাখার জন্য এমন আয়োজন। তাছাড়া তাকে (অর্থাৎ দেবতাকে) হালকা জামাকাপড় পরানো হয়েছে।”
তবে কি গ্রীষ্মের দাবদাহ থেকে নিস্তার নেই ত্রিভুবনজয়ী ঈশ্বরদেরও? নাকি এসব নিছক বানানো গল্প কথা? এপ্রসঙ্গে উত্তরপ্রদেশের সাধারণ হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষেরা অভিযোগ করেছেন যে, গরমে পুরোহিত’রা নিজেদের সুবিধার জন্যই এমন পরিকল্পনা করেছেন। আর সেই কারণেই ভগবানের দোহাই দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে চাঁদা তুলে তাঁরা নিজেদের আরামের ব্যবস্থা করছেন।