রাজশাহীর পবার মেয়ে শায়লা খাতুন। বয়স ১৯ বছর। রাজশাহীর একটি নার্সিং কলেজ গ্লোবাল নার্সিং কলেজের ছাত্রীনিবাসে থেকে পড়াশুনা করত শায়লা। এর আগে পবার দারুশা বেঘুরাগ্রামে নানার বাড়িতে থাকত শায়লা। একই এলাকায় আজিজুল ইসলামের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরিবার জানতে পেরে তারা বাধা দেয়।
পরিবারের লোকজন শায়লা ও আজিজুলকে হুমকি ধামকি দেয়। শায়লা এসময় পরিবারের সদস্যদের বোঝানোর জন্য বলে আমি আর আজিজুলের সঙ্গে সম্পর্ক রাখবো না। পরিবারের ইচ্ছাতেই বিয়ে করবো। এরপরও তারা সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছিল।
পরিবারের লোকজন জানতে পেরে আরো চাপ দিতে থাকে। পরিবারের চাপে আত্মহত্যা করে শায়লা। নিহত শায়লা পদ্মা নদীর চর মাঝারদিয়ার এলাকার মাইদুল ইসলামের মেয়ে। শুক্রবার সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় বোয়ালিয়া থানা সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে গলায় ফাঁস দিয়ে শায়লা আত্মহত্যা করতে পারে। মরদেহটি উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। শায়লার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বাবা-মা গ্রামে তার বিয়ে দিতে চায় না। এ কারণে হয়তো আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে শায়লা ।
প্রেমে বাধা হওয়ায় একটি উঠতি মেয়ে আত্মহত্যা করে তার ক্ষোভ ও দু:খের বহি:প্রকাশ করে। যা আমাদের সমাজ ও জাতির জন্য মঙ্গলজনক নয়।