৪৮ ঘন্টাও কাটেনি, ফের আক্রান্ত হল চিকিৎসক, আবার একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল ডাক্তারদের নিরাপত্তাহীনতা । রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির আশ্বাসেও মানুষের মধ্যে পরিবর্তন আসেনি সেটা আবারো প্রমাণ হলো । ঘটনাটি ঘটেছে হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে । ঘটনার সূত্রপাত সাপে কামড়ানো এক মহিলা কে ঘিরে ।
অঞ্জলি প্রামানিক নামে উক্ত মহিলার বাড়ি সুতাহাটা থানার দূর্বা বেরিয়া গ্রামে । স্থানীয় এবং পুলিশ সূত্রের খবর অঞ্জলি প্রামানিক বাড়ির গোয়ালে কাজ করার সময় তাকে একটি বিষধর সাপ দংশন করে । তার আত্মীয় পরিজনরা তাকে সরাসরি ভর্তি করেন হলদিয়া মহাকুমা হসপিটালে । কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত চিকিৎসকরা চেষ্টা করা সত্ত্বেও তাকে বাঁচাতে পারেনি । এরপর শুরু হয় কথা কাটাকাটি, সেখান থেকে হাতাহাতি । রোগীর পরিচিতরা দাবি করেন, চিকিৎসা পদ্ধতির গাফিলতির কারণে মৃত্যু হয় অঞ্জলী দেবীর । এরপর কিছু বহিরাগত এবং অঞ্জলী দেবীর বাড়ির লোকেরা হাসপাতাল চত্বরে শুরু করে দেয় ভাঙচুর । মুহুর্তের মধ্যে হাসপাতাল চত্বরে চরম বিশৃঙ্খলার মধ্যে পড়ে হয়রানি হন অন্যান্য রোগীর আত্মীয় পরিজনরা ।
হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে মহিলা সুপার সুমনা দাস গুপ্ত কে ঘিরে বিক্ষোভকারীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে এবং তাকে হেনস্থা করে । খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে দুর্গাচক থানার পুলিশ বাহিনী পৌঁছায় । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে হয় । হাসপাতাল সুপার সুমনা দাস গুপ্ত এর কথায় ‘ এদিন পুলিশ এসে পড়ায় বড়োসড়ো হামলা থেকে রক্ষা পেয়েছি । না হলে কি হতো ভাবতেই ভয় লাগছে । চিকিৎসকদের কোন কথাই শুনতে চাইছিলেন না রোগীর আত্মীয়রা’ ।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ঐদিন সাপে কাটা রোগীকে সমস্ত চিকিৎসাই দেওয়া হয়েছিল । তাকে জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছিল । কিন্তু ভেন্টিলেশনে দেওয়ার আগেই মৃত্যু হয় তার । এই ঘটনার জেরে শংকরী প্রামাণিক নামে এক মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । হাসপাতাল চত্বরে বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট ।