বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ রাজ্য সরকারী কর্মচারীদের আশার আলো জ্বেলে আবার নিবে গেল । পূজার আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ষষ্ঠ বেতন কমিশন প্রসঙ্গে যে কথা বলেছিলেন, তাতে সরকারি কর্মচারীদের সাধারণ ধারণা ছিল, ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে বর্ধিত বেতন কাঠামো অনুযায়ী বকেয়া টাকা তথা এরিয়ার দেওয়া হবে । কিন্তু শুক্রবার সন্ধ্যায় নবান্ন থেকে জানিয়ে দেওয়া হল, বকেয়া টাকা রাজ্যের পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয় ।
হটাত করেই শুক্রবার নবান্ন থেকে নতুন বেতন কাঠামোর বিষয়ে রোপা রুল ২০১৯ (রিভিশন অব পে অ্যান্ড অ্যালাওয়েন্সেস) জারি করা হল । সেখানে পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে নবান্ন জানিয়ে দিল, ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কর্মচারীরা কোনও এরিয়ার তথা বকেয়া টাকা পাবেন না । সুরতাং মাত্র দুদিন আগে রাজ্য সরকারী কর্মচারীদের ঘরে ঘরে যে খুশীর রোল উঠেছিল সেটি নিমিষে মিলিয়ে গেল আবার ।
উল্লেখ্য, বেশ কয়েক বছর ধরে রাজ্য সরকারী কর্মচারী এবং রাজ্য সরকারের মধ্যে বেশ টানা পড়েন চলছিল বেতন পরি কাঠামো নিয়ে । অনেক পরে, ৬ষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশে গত সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভা অনুমোদন দেয়। তার পর অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রকে সাংবাদিকরা এরিয়ার তথা বকেয়া টাকার ব্যাপারে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশেই বলা হয়েছে ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কর্মচারীরা এরিয়ারের টাকা পাবেন, কিন্তু রাজ্য সরকার এরকম সিদ্ধান্ত নিচ্ছে কেন ?
সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়ে হেসে বললেন, “আপনারা কি পে কমিশনের সুপারিশ মুখস্থ করে রেখেছেন? কোথায় পেলেন সেটা? আমি তো বলছি কমিশন যা সুপারিশ করেছে তা সবই কমবেশি মেনে নেওয়া হয়েছে। এর বাইরে আর কিছু বলতে পারব না। পে কমিশনের সুপারিশও আপনাদের দেখাতে পারব না”।
সরকারের মতি গতি সেদিন ভাল করে বোঝা না গেলেও, অমিত মিত্রের এই কথায় এবার মোটামুটিভাবে বোঝা যাচ্ছে রাজ্য সরকারের ইচ্ছা । অবশ্য নবান্ন সূত্রেও জানা গিয়েছিল যে, এরিয়ারের টাকা অধরাই থেকে যেতে পারে । শেষমেশ আশঙ্কা সত্যি হল । শুক্রবার প্রকাশিত রোপা রুল ২০১৯-এ পরিষ্কার বলা হয়েছে যে, নতুন বেতন কাঠামো ১লা জানুয়ারি ২০২০ থেকে কার্যকর হলে্ও ১লা জানুয়ারি ২০১৬ থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত কোনও এরিয়ার বা বকেয়া টাকা পাওয়া যাবে না ।