বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে রাজ্য জুড়ে চলা প্রতিবাদের পরোক্ষ প্রভাব পড়ছে রাজ্যের শিক্ষার্থীদের ওপর। আটকে যেতে পারে বিভিন্ন ক্ষেত্রের পরীক্ষা এবং ফলাফল ঘোষণা। চরম ভোগান্তিতে রাজ্যের ছাত্র ছাত্রীরা।
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে দেশ জুড়ে চলছে চরম প্রতিবাদের ঝড়। এই ঝড়ের প্রভাব থেকে বাদ যায়নি পশ্চিমবঙ্গ। জ্বলছে বাস, ট্রেন। আক্রান্ত সাধারণ মানুষ। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। ইন্টারনেটের মাধ্যমে যাতে কোনও রকম হিংসা না ছড়ায় সেদিকে খেয়াল রেখে রাজ্য সরকার কয়েকটি জেলায়, বিশেষ করে বারাসাত, বসিরহাট, উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণাতে বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট ফল স্বরূপ এই সব জেলাতে কিভাবে বার্ষিক পরীক্ষার ফল ঘোষণা করা যাবে তাই নিয়ে শিক্ষক শিক্ষিকারা অনিশ্চয়তায় ভুগছে।
এই সমস্যা শুধু স্কুল স্তরেই আটকে নেই। বিভিন্ন কলেজ গুলিতে চলছে তৃতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষা এবং আগামী ২০ তারিখ থেকে প্রথম বর্ষের পরীক্ষা শুরু হবার কথা। এমত অবস্থায় ছাত্র ছাত্রীরা রাস্তা ঘাটে বেরোতে ভয় পাচ্ছে। সাথে সাথে আতঙ্কিত তাদের আভিভাবকরা। কোনও কোনও পরীক্ষার্থী পরীক্ষা শুরুর অনেক আগেই চলে আসছে কলেজে এছাড়া অনেকে ট্রেন বাস বন্ধ থাকার ভয় আগেই চলে এসে উঠছেন হোটেল বা কোনও আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে। কিন্তু সবার এইসব সুবিধে না থাকায় ভুগতে হচ্ছে তাদের।
যেহেতু কিছুদিনের মধ্যেই সমস্ত স্কুল গুলির বার্ষিক পরীক্ষার ফল বেরনোর কথা সেহেতু শিক্ষকদের পরীক্ষার নম্বর ই-পোর্টালে আপলোড করার নির্দেশ ছিল সরকারের পক্ষ থেকে। কিন্তু ইন্টারনেট বন্ধ থাকার দরুন তারা সেই কাজে বিফল হয়। বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকদের দাবী এমনিতেই সার্ভার ডাউন থাকার দরুন তাদের পক্ষে নম্বর আপলোড করতে অসুবিধে হয় তারপর সম্পূর্ণ ইন্টারনেট ব্যবস্থা বন্ধ হলে সময়মত তারা বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করতে পারবেনা। ফলে ছাত্র ছাত্রীদের আগামী শিক্ষাবর্ষে ভর্তিতে দেরী হয়ে যাবে ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে তারা। তাই শিক্ষক শিক্ষিকারা এবং শিক্ষক সংগঠনগুলি তাকিয়ে আগামী পরিস্থিতির দিকে। যত তাড়াতাড়ি পরিস্থিতি বদলাবে তত তাড়াতাড়ি স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে সাধারণ মানুষ।