পীর খানজাহান আলীর স্থাপিত ঐতিহ্যবাহি ষাটগুম্বজ মসজিদে দক্ষিনাঞ্চলের ঈদুল আযহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১২ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৭টায়, এবং সকাল সাড়ে ৮টায় দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয় এ মসজিদে ।সকাল থেকে বাগেরহাটে মুশলধারে বৃষ্টি থাকলে দুটি জামাতে-ই মুসল্লীদের উপচে পড়া ভীড় ছিল। দূরদূরান্ত থেকে মুসল্লীরা এসেছিলেন ঐতিহাসিক এ মসজিদে নামাজ আদায় করতে।
প্রথম জামাতে ঈমামতি করেন বাগেরহাট শহরের সরুই জামেয়া আরাবিয়া সিদ্দিকিয়া ও বরকতিয়া মাদরাসার শিক্ষক মুফতি মোঃ আবু আব্দুল্লাহ । দ্বিতীয় ও সর্বশেষ জামাতে ইমামতি করেন ষাটগম্বুজ মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলনা মোঃ হেলাল উদ্দিন।
প্রথম জামাতে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশীদ,সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তানজিল্লুর রহমান, ষাটগম্বুজ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আকতারুজ্জামান বাচ্চুসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা ষাটগম্বুজে ঈদের নামাজ আদায় করেন। এছাড়া জেলার উচ্চ পদস্থ সরকারি কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার অসংখ্য মানুষ এখানে এ মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করেন।
ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ষাটগুম্বজ মসজিদে ঈদের জামাতের মুসল্লিদের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় পুলিশের পাশাপাশি অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুল সংখক সদস্য নিয়োজিত ছিল।
প্রসঙ্গত ষাট গুম্বজ মসজি বাংলাদেশের একটি বৃহত্তম প্রাচীন মসজিদ। মসজিদের গায়ে কোন শিলালিপি নেই । তবে প্রত্নতাত্ত্বিক নির্দশনে ধারনা করা হয় ১৫ শতাব্দীতে এই মসজিদটি খান জাহান আলী নির্মান করেন। এ মসজিদের ব্যবহৃত পাথর রাজমহল থেকে আনা হয়। বাংলাদেশের তিনটি বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের মধ্যে একটি। ১৯৮৩ সালে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকায় মর্যাদা দেয়।