বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ বুধবার গভীর রাতে ৭৮ বছর বয়সে চির ঘুমের দেশে পাড়ি দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র । দক্ষিন কলকাতার একটি বেসরকারি নার্সিং হোমে হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে মারা গেলেন প্রয়াত বরকত গনিখান চৌধুরীর শিষ্য এবং বঙ্গ রাজনীতিতে “ছোড়দা” হিসাবে পরিচিত সোমেন মিত্র ।
পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ কলকাতায় একটি বেসরকারি নার্সিং হোমে পেসমেকার বদলি করার জন্য সোমেন মিত্রকে ভর্তি করা হয়েছিল । কিন্তু কিছুদিন ধরেই শরীরে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেশি হওয়ায় নিয়মিত ডায়ালিসিস করতে হচ্ছিল।মঙ্গলবারেও তাকে বেশ সুস্থ দেখাচ্ছিল । বুধবার নার্সিং হোমে তিনি হাঁটাচলা করেছিলেন। পরিজন ও শুভানুধ্যায়ীদের সঙ্গে কথাও বলেছিলেন। কিন্তু বেশি রাতে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হন তিনি।
সোমেন মিত্র মারা যাবার সাথে সাথে বঙ্গ রাজনীতির একটি অধ্যায় শেষ হল । গতকাল রাতেই প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে টুইট করে সভাপতির প্রয়াণের কথা জানানো হয়।
WBPCC President Somen Mitra has breathed his last, a short while ago. As we struggle to come to terms with this immense loss, all our prayers and thoughts are with Dada’s family.
May his soul rest in peace 🙏 pic.twitter.com/6T207fyt2A
— West Bengal Congress (@INCWestBengal) July 29, 2020
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নয়ের দশকে তত্কালীন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রর সঙ্গে কংগ্রেসের সাংগঠনিক নির্বাচনে লড়াইয়ের পরেই কংগ্রেস দল ছেড়েছিলেন তত্কালীন ।১৯৯৮ সালে তখন মমতা ছিলেন যুব কংগ্রেস নেত্রী ।মমতা দল ছাড়ার পর গঠন করেন তৃণমূল কংগ্রেস । এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দল ছাড়ার পর নির্বাচনে বিপর্যয়ের দায় নিয়ে সোমেনবাবু প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন । ফের তিনি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদে ফেরেন কুড়ি বছর পরে, ২০১৮-র সেপ্টেম্বরে।
সোমেন মিত্রের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ বাংলার রাজনীতি মহল । কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত শোক প্রকাশ করেছেন । দক্ষিণ কলকাতার নার্সিং হোমে থাকাকালীন সোমেনবাবুর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে নিয়মিত খোঁজখবর করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত রবিবার ফোন করে সোমেনবাবুর স্বাস্থ্যের খোঁজ নেন মুখ্যমন্ত্রী। পরে ফুল পাঠিয়ে তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনাও করেন।