বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: (তথ্যসূত্র- thewall.in) ইসরো। ভারেতর প্রধান মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। বিজ্ঞানী বিক্রম সারাভাই ১৯৬২ সালে ইন্ডিয়ান ন্যাশানাল কমিটি ফর স্পেস রিসার্চ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এই প্রতিষ্ঠানই পরবর্তীকালে ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন বা ইসরো নামে পরিচিত হয়। শুধু মহাকাশে সাফল্যই নয়, কম খরচে অসাধ্যসাধনের জন্যও খ্যাত ইসরো। ব্যর্থতা থাকেই। তবু থেমে থাকেন ইসরো। নিরন্তর চলে গবেষণা। জেনে নিন সেই গর্বের সংস্থা সম্পর্কে কিছু অবাক করা তথ্য।
১। ইসরোর যে কোনও যন্ত্রপাতিতেই শিবের কপালের মতো তিনটি দাগ ও লাল টিপ থাকে। এর নাম বিভূতি ও কুমকুম।
২। প্রথম দিকে ইসরোর বিজ্ঞানীরা সাইকেলে করে উপগ্রহের যন্ত্রাংশ বহন করতেন। অ্যাপেল স্যাটেলাইট তো নিয়ে যাওয়া হয়েছিল গরুর গাড়ি করে।
৩। ২০১৩ সালে ইসরো মঙ্গলগ্রহে পাঠায় নিজেদের যান। এর আগে এক বারের চেষ্টায় এই সাফল্য কোনও দেশ পায়নি।
৪। ২০০৮ সালে চন্দ্রযান পাঠাতে সফল হয় ইসরো। সেই সাফল্যের নিরিখে বিশ্বের চতুর্থ দেশ ভারত।
৫। ইসরোর এক বাণিজ্যিক শাখাও রয়েছে। অ্যানট্রিক্স নামের সেই শাখা অর্থের বিনিময়ে মহাকাশ প্রযুক্তি বিক্রি করে।
৬। পাকিস্তানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা সুপারকো-র আট বছর পরে তৈরি হয় ইসরো। যদিও সাফল্যের বিচারে অনেক অনেক এগিয়ে ইসরো। আজ পর্যন্ত পাকিস্তানের উপগ্রহ উৎক্ষেপণের সংখ্যা মাত্র দুই। ইসরোর প্রায় ৭০টি।
৭। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থার নাসা এক বছরে যে পরিমাণ খরচ করে সেটা ইসরোর ৪০ বছরের বাজেট।
৮। ইসরোর প্রথম পরীক্ষামূলক স্যাটেলাইটের বাহনের নাম ছিল এসএলভি-৩। এই প্রকল্পের নেতৃত্ব দেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালাম।