আইনস্টাইন সর্বকালের সেরা বিজ্ঞানী দের মধ্যে একজন ।কথিত আছে স্কুল জীবনে তিনি ছিলেন ব্যর্থ, অপদার্থ । একবার তাকে তার কোন একজন শিক্ষক বলেছিলেন, ‘ওকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না, ও একটা অপদার্থ’ । কিন্তু সেই অপদার্থ মানুষটিকেই কি না আজকের সর্বকালের সেরা বিজ্ঞানী হিসাবে গণ্য করা হয় । তার অন্য আবিস্কারের কথা না বাদই দেওয়া গেল । শুধুমাত্র তাঁর আপেক্ষিকতার সূত্র, পুরো বিজ্ঞানকে নতুন দিকে ঘুরিয়ে দিয়েছে, সূচনা করেছে বিজ্ঞানের এক নব যুগের । তিনি পদার্থ বিজ্ঞান ও মহাকাশ সম্পর্কিত বিজ্ঞানী নিউটনের সূত্রকে নতুন রূপ দান করে, বিজ্ঞানকে এমন এক জায়গায় নিয়ে এসেছেন, যার ফলে আজ বিজ্ঞানের অপরিহার্যতা নিয়ে কোন প্রকার সন্দেহের অবকাশ থাকে না । তাঁর আবিষ্কৃত শুধুমাত্র এই সূত্রের ওপর ভিত্তি করেই এগিয়ে যাচ্ছে বর্তমান বিজ্ঞান । বিজ্ঞানী আইনস্টাইন একটি বিশেষত ছিল যে, তিনি বিজ্ঞানের বিভিন্ন জটিল বিষয় গুলোকে বেশ মজার ঘটনা দিয়ে উপস্থাপন করতে পারতেন । আইনস্টাইন শুধু একজন বিজ্ঞানী ছিলেন না, পাশাপাশি তিনি ছিলেন একজন দার্শনিক ।তাঁর কাজ ও জীবনী নিয়ে পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে যে, জীবন নিয়ে ছিল তার গভীর চিন্তা-ভাবনা । জীবন নিয়ে তাঁর চিন্তা-ভাবনা থেকে এমন কিছু বিখ্যাত কথা রয়েছে, যে কথাগুলো থেকে পাওয়া যাবে, কোন একজন মানুষের জীবনের চলার পথে সামনে এগিয়ে যাওয়ার নতুন প্রেরণা । আইনস্টাইন বিখ্যাত উক্তি গুলির মধ্যে কিছু কথা এখানে তুলে ধরা হল –
“যে কখনো ভুল করেনি, সে কখনো নতুন কিছু করার চেষ্টায় করেনি” ।
“ আমি চিন্তা করেছি মাসের পর মাস, বছরের পর বছর । আমার চিন্তাগুলো ৯৯ বার ভুল হয়েছে । তবে শততম বারে আমি সফল হয়েছি” ।
“ আপনি অনুসরণ করে কারো সাহায্য নিয়ে সামনে এগিয়ে যান, তবে হয়তো একদিন তাদের অবস্থানে পৌঁছাতে পারবেন । কিন্তু আপনি যদি নিজের পথ নিজেই তৈরী করে চলেন, তাহলে হয়তো এমন এক সাফল্যমন্ডিত স্থানে পৌঁছাবেন, যেখানে আজ পর্যন্ত কেউ পৌছাতে পারেনি” ।
“আমি, ভেড়ার নেতৃত্বে সিংহ বাহিনীকে ভয় পাই না, বরং সিংহের নেতৃত্বে, ভেড়ার পালকে ভয় পাই” ।
“গতকাল থেকে শিখুন, আজকের দিনটি নিয়ে বেঁচে থাকুন, আর আশাটা করুন আগামীকালের জন্য” । তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, প্রশ্ন করা থামাবেন না” ।
“আপনাকে আগে খেলার নিয়ম শিখতে হবে, তারপরে আপনি অন্যদের চেয়ে ভালো খেলতে পারবেন” ।
“মহৎ ব্যক্তিরা, সবসময় ভয়ানক বাধার সম্মুখীন হয় সংকীর্ণ চিন্তার মানুষদের কাছ থেকে” ।
“ যারা আমাকে সাহায্য করে নি, আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ । কারণ, তারা সাহায্য না করায়, আমি নিজের কাজ নিজে করতে শিখেছি” ।
“ শান্তি কখনোই শক্তি প্রয়োগ করে আনা যায় না । একমাত্র বোঝা পড়ার মাধ্যমে তা সম্ভব” ।
“এই পৃথিবী, কখনো খারাপ মানুষের খারাপ কর্মের জন্য ধ্বংস হবে না । যারা, খারাপ মানুষের খারাপ কর্ম দেখেও চুপ করে থাকে, তাদের জন্যই পৃথিবী ধ্বংস হবে “ ।
“স্কুলে যা শেখানো হয়, তার সবটুকুই ভুলে যাবার পর, যেটুকু অবশিষ্ট থাকে, তাই হলো প্রকৃত শিক্ষা” ।