বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: মাস কয়েক ধরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি এর ছাত্রসংগঠনের ছাত্রদলের জাতীয় কাউন্সিলের কথা শোনা যাচ্ছিল। মাসখানেক ধরে চলছিল এর প্রস্তুতি। ভোটের আগের দিন আদালতের আদেশে থেমে গেল ছাত্রদলের ৬ষ্ঠ কাউন্সিল। ছাত্রদল ও বিএনপির নেতারা সরকারকে সন্দেহ করছেন।
ছাত্রদল ও বিএনপির নেতারা বিষয়টি নিয়ে আদালতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। আদালতে সিদ্ধান্ত হওয়ার পর ছাত্রদলের নতুন কাউন্সিলের তারিখ জানান হবে। একই সাথে যতদিন কাউন্সিল না হচ্ছে ততদিন বর্তমানে দায়িত্বরত নেতারা দায়িত্বে থাকবেন।
আজ শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর সকাল থেকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ছোট ছোট আকারে বিক্ষোভ করে। দিনভর এই বিক্ষোভে নয়াপল্টন উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে। ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ফকিরাপুল থেকে কাকরাইলের নাইটেঙ্গেল মোড় পর্যন্ত ঘুরে ঘুরে ‘মুক্তি চাই, মুক্তি চাই, খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই’, ‘এক জিয়া লোকান্তরে, লক্ষ জিয়া ঘরে ঘরে’, ইত্যাদি শ্লোগানের পাশাপাশি ছাত্রদলের জাতীয় কাউন্সিল-২০১৯ শুভেচ্ছা, স্বাগতম শ্লোগান দেন।
জানা যায় কাউন্সিল আয়োজনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা আজ কেউ অফিস করেনি। বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান ও কৃষক দলের আহবায়ক শামসুজ্জামান দুদু তার কার্যালয়ে আসেন বেলা সাড়ে ১১টায়। আদালতের নিষেধাজ্ঞার পর গত দিন শুক্রবার সাবেক ছাত্রনেতারা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ সিনিয়র আইনজীবীদের সাথে যৌথ বৈঠক করেছেন। ওই বৈঠকে নিম্ন আদালতের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করতে উচ্চ আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আদালতের এই নিষাধাজ্ঞায় বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতা কর্মীরা ক্ষুদ্ধ মতামত জানান। বিএনপির নেতা কর্মীরা মনে করে এর মাধ্যমেই সরকারের মুখোশ উন্মোচিত হচ্ছে। আদালতে যে স্থগিতাদেশ দিয়ে তার বিরুদ্ধে রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) আইনজীবীরা উচ্চ আদালতে যাবেন। স্থগিতাদেশে উঠে গেলেই খুব শিগগিরই কাউন্সিল হবে। প্রার্থী ও ভোটার তালিকা চূড়ান্তভাবে প্রকাশ হয়ে গেছে। এখন শুধু ভোটগ্রহণই বাকী। ফলে এটা সম্পন্ন করতে তেমন কোনো অসুবিধা হবে না। সব প্রস্তুতি নেয়া আছে।
প্রসঙ্গত বিএনপির অঙ্গ সংগঠন ছাত্রদলের কাউন্সিলে সভাপতি পদে ৯ জন, সাধারণ সম্পাদক পদে ১৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই কাউন্সিলে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য ৫৩৩ জন কাউন্সিলর ভোট দেবেন।