বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: বিজ্ঞানের অগ্রগতির সাথে সাথে মহাশূন্য সম্পর্কে একের পর এক চমকপ্রদ তথ্য আবিষ্কার করে চলেছেন বিজ্ঞানীরা। সাম্প্রতিক সময়ে মহাকাশ বিজ্ঞানীরা আকাশগঙ্গা ছায়াপথের বেশ কিছু গ্রহ আবিষ্কার করেছেন। বিজ্ঞানীদের দাবি, এর মধ্যে কিছু কিছু গ্রহ পৃথিবীর মতই বাসযোগ্য, কিছু আবার পৃথিবীর চেয়েও বেশী।
বিজ্ঞানীদের এই অনুমান একেবারে ভুল বলা চলেনা। কারণ ইতিমধ্যে পৃথক পৃথক গবেষণা কেন্দ্র থেকে খবর এসেছে যে, পৃথিবীর বাইরে অন্য ছায়াপথ থেকে পৃথিবীতে বেতার সংকেত আসছে। বাইরের মহাবিশ্ব থেকে যে বেতার সংকেত’গুলি পৃথিবীতে এসেছে, তার মধ্যে বেশ কিছু তরঙ্গের পুনরাবৃত্তি হতেও দেখা গেছে; ইতিমধ্যে এমন ৮টি বেতার তরঙ্গ আবিষ্কার করা গেছে যেগুলির পুনরাবৃত্তি ঘটে।
এই বেতার তরঙ্গ’গুলি বাইরের কোনও গ্রহ বা এলিয়ান দ্বারা প্রেরিত হতে পারে, আবার কৃষ্ণগহ্বরে পতিত কোনও নক্ষত্র থেকেও আসতে পারে। এই নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা চালাচ্ছেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা।
সম্প্রতি মহাকাশ বিজ্ঞানীরা এই গবেষণাপত্র স্পেনের বার্সেলোনায় গোল্ডস্মিথ ভূ-রসায়ন কংগ্রেসে উপস্থাপন করেছেন। এই গবেষণা কমিটি’র প্রধান স্টেফানি ওলসন বলেন, “আমরা গবেষণার মাধ্যমে একটা চমকপ্রদ উপসংহারে এসেছি। আর তা হলো, পৃথিবীর বাইরে কোনো কোনো গ্রহের পরিবেশ জীবের টিকে থাকার জন্য দারুণ অনুকূলে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেসব গ্রহে মহাসাগরের মতো ঘূর্ণন প্যাটার্ন দেখা গেছে। সেসব ঘূর্ণন প্যাটার্নের কোনো কোনোটি প্রাণের বিকাশের জন্য পৃথিবীর চেয়েও বেশি অনুকূল বলে প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে মনে হচ্ছে। এটি আরও দেখাচ্ছে, ওই সব গ্রহের মহাসাগরে জীবের টিকে থাকার উপাদানের প্রাচুর্য আমাদের পৃথিবীর চেয়েও বেশি।”
তিনি আরও বললেন, “পৃথিবীর মহাসাগরগুলোতে জীবন নির্ভর করে সাগরের পানির ওপরে উঠে আসার প্রবাহ বা আপওয়েলিংয়ের ওপর। এর মাধ্যমে মহাসাগরের গভীর অন্ধকার অংশ থেকে পুষ্টি উপাদান ওপরে সূর্যালোক পৌঁছাতে সক্ষম এমন অংশে উঠে আসে। এই অংশেই সালোকসংশ্লেষী জীবেরা থাকে। মহাসাগরের এই আপওয়েলিং পরিবেশই আমরা এক্সোপ্লানেটে খুঁজে দেখছি। প্রাণের বিকাশ সেখানে বেশি, যেখানে বায়ুমণ্ডলের ঘনত্ব বেশি, ঘূর্ণন গতি কম ও আপওয়েলিং হার বেশি।”