শেখ হাসিনার শাসনে আবার বড় প্রশ্নের মুখে পড়ল বাংলাদেশের মহিলাদের নিরাপত্তা । বাংলাদেশের মাটিতে মাদ্রাসার মধ্যে একজন নয় পরপর চার জন ছাত্রীকে ধর্ষণ এবং যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠল । অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মুক্তি মোস্তাফিজুর রহমানের নামে । অভিযোগ পাওয়ার পরপরই প্রশাসন দেরি করেনি । অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী র্যাব ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গ্রেফতারকৃত মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক উক্ত মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতাও । স্থানীয় লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গেছে, এর আগেও একই রকম অভিযোগ ছিল ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে । ধর্ষণের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জে ।
বেশ কয়েকদিন ধরে ওই মাদ্রাসার উপর নজর রাখছিল বাংলাদেশ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী র্যাব । এরপর গোপন সূত্রে খবর পেয়ে নারায়ণগঞ্জের উল্লেখিত মাদ্রাসায় হানা দেয় পুলিশ । সেখানে বেশ কিছু অবৈধ জিনিস পত্র সহ বেশ কয়েকটি ল্যাপটপ উদ্ধার করেছে পুলিশ । গত 6 বছর যাবত মোস্তাফিজুর রহমান মাদ্রাসাটি চালাচ্ছেন । নিজের পরিবার সহ সেখানেই বসবাস করতেন প্রধান শিক্ষক ।
ইতিমধ্যে পুলিশ মোস্তাফিজুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে । পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের দরকার পড়লে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে । সংবাদ সূত্রে জানা গেছে ওই মাদ্রাসায় 35 জন ছাত্রী লেখাপড়া করতো করতো । সম্প্রতি মাদ্রাসাটির বেশ কয়েকজন ছাত্রীর পরিবারের কাছ থেকে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জমা পড়ে । এরপর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন । পুলিশ গোপন ভাবে নজরদারি চালানোর পর ঘটনার সত্যতা জানতে পারে । এছাড়া প্রধান শিক্ষকের ফোন থেকেও বেশ কিছু অশ্লীল ভিডিও পাওয়া গিয়েছে বলে জানা গেছে । গত কয়েকদিন আগেও বেশ কয়েকটি মাদ্রাসাতে একই রকম ঘটনা ঘটেছে ।
বারবার মাদ্রাসাগুলিতে একই ধরনের ঘটনা ঘটায় বেশ বড় প্রশ্নের মুখে বাংলাদেশের মহিলাদের নিরাপত্তা । প্রকৃতপক্ষে মাদ্রাসাগুলিতে নজরদারির তেমন কোনো ব্যবস্থা না থাকায় দিনের পর দিন সেই সুযোগ গুলো নিয়ে আসছে বেশ কিছু মাদ্রাসার কর্মী এবং শিক্ষকরা, এমনটাই মনে করছেন সমাজকর্মীরা ।