বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: রাণাঘাট রেল ষ্টেশনের রানু মণ্ডল’কে এখন গোটা ভারতবর্ষ এক ডাকে চেনে। কিছুদিন আগে পর্যন্তও যাকে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার রাণাঘাট রেল ষ্টেশনে গান গাইতে দেখা যেতো, তিনিই এখন একের পর এক সিনেমায় প্লে-ব্যাক গেয়ে চলেছেন। কিন্তু, জনপ্রিয়তার পাশাপাশি ইতিমধ্যেই বেশ কিছু বিতর্কও ছড়িয়েছে ভবঘুরে সঙ্গীতশিল্পী রানু মণ্ডলকে ঘিরে। তাঁর নিজের মুখে বলা বেফাঁস কিছু কথার জেরেই বর্তমানে সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁকে।

ভবঘুরে রানু মণ্ডলের পরিবারের খোঁজ করায় সংবাদ মাধ্যমে একইসাথে উঠে এসেছে তাঁর মেয়ে এলিজাবেথ সাথী রায়ের কথা। মায়ের পাশাপাশি মেয়েও এখন গোটা দেশে যথেষ্ট পরিচিত, কিন্তু এই পরিচিতি মোটেই সুখকর হচ্ছেনা তাঁর জন্য। কারণ মা ভবঘুরে হয়ে ঘুরে বেড়ানোর কারণে সামাজিক গণমাধ্যমে সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে সাথী’কে। সম্প্রতি একথা জানিয়েই সংবাদ মাধ্যমে মায়ের সম্পর্কে কিছু কথা জানান রানু মণ্ডলের মেয়ে এলিজাবেথ সাথী রায়।

জিজ্ঞাসাবাদ করায় সাথী জানান, তাঁর মা যে ষ্টেশনে বসে গান করছেন, সে বিষয়ে কোনও ধারণায় ছিলনা তাঁর। নিয়মিত মা’কে দেখতে না এলেও যোগাযোগ ছিল বলে জানায় মেয়ে। এপ্রসঙ্গে ভারতীয় গণমাধ্যম আই এ এন এস-কে সাথী জানান, “যতটা সম্ভব মায়ের যত্ন নেওয়ার চেষ্টা করেছি এবং আমিও অনেক সংগ্রাম করেই দিন চালাচ্ছি।” তিনি আরও বলেন, “আমি মাকে বেশ কয়েকবার আমার সাথে থাকতে বলেছিলাম, কিন্তু মা প্রতিবারই প্রত্যাখ্যান করেছে।”

সূত্র থেকে জানা গেছে, রাণু মণ্ডলের প্রথম পক্ষের এক ছেলে এবং এক মেয়ের মধ্যে সাথী একজন। তিনি বর্তমানে একজন সিঙ্গেল মাদার এবং একটা ছোট্ট মুদি দোকান চালান। নিজের জীবনে সংগ্রাম থাকা স্বত্বেও প্রতি মাসে যতটা সম্ভব মাকে সাহায্য করতেন বলে জানান সাথী। তিনি বলেন, “কয়েকমাস আগে আমি ধর্মতলায় গিয়েছিলাম এবং মাকে একটি বাসস্ট্যান্ডে বসে থাকতে দেখি। আমি মাকে বলি, এক্ষুণি বাড়ি যাও এবং ২০০ টাকাও দেই। তাছাড়া বিভিন্ন সময় মামার অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে যথাসম্ভব ৫০০ টাকা করে পাঠাতাম মাকে। আমি তবুও যতটুকু পারি মাকে দেখাশোনা করার চেষ্টা করেছি। তবুও লোকেরা আমায় দোষ দিচ্ছে।”

এছাড়াও, সম্প্রতি রানু মণ্ডলের সম্পর্কে আরও কিছু গোপন তথ্য সংবাদ মাধ্যমকে জানালেন মেয়ে সাথী রায়। তিনি জানালেন, “কয়েক বছর আগে আমার বাবা মারা গেছেন। মা’র দ্বিতীয় স্বামীর ছেলেমেয়েরা সম্ভবত মুম্বাইতে রয়েছেন, যদিও আমি নিশ্চিত নই। মায়ের দ্বিতীয় স্বামী এখনও বেঁচে আছেন। আমি মায়ের প্রথম স্বামীর মেয়ে এবং আমার এক বড় ভাই আছে। তাছাড়া এক সৎ ভাই ও সৎ বোন রয়েছে। আমরা একে অপরের যোগাযোগে নেই। অন্য সন্তানরা মা’র দায়িত্ব কেন নেয় না? কেন কেউ তাদের দোষ দিচ্ছে না? আমি চাই তারা এগিয়ে আসুক এবং সাথে মা’র যত্ন নিক আমার মতোই।”

Atanu Chakraborty is a content and news writer at BongDunia. He has completed his Bachelor Degree on Mass Communication from Rabindra Bharati University. He has worked with mainstream media, in the capacity of a reporter and copywriter.

Leave A Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.