বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ ট্রেন হল পাচারকারীদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। এই মাধ্যমের মারফৎ দেশের মধ্যে এবং দেশের বাইরে প্রতিবেশী দেশেও সোনা, মদ, জীবজন্তুর চামড়া, অন্যান্যো অনেক বেআইনি জিনিস পাচার হয়ে থাকে। এবারে অভিযোগ উঠেছে পূর্ব-মধ্য রেলের কোডারমা পোস্টের ৮ আরপিএফ অফিসার এবং কন্সস্টেবেলের বিরুদ্ধে।
দেশের আইন রক্ষার দায়িত্ব যাদের ওপর তারাই যদি সেই আইন অমান্য করে তবে সাধারণ মানুষের বিশ্বাস এবং নিরাপত্তার হাল কিহতে পারে সেটা সহজেই অনুমান করা যায়। পূর্ব-মধ্য রেলের কোডারমা শাখার আরপিএফ অফিসাররা দিনের পর দিন ধানবাদ-গয়া শাখার বিভিন্ন যাত্রীবাহী ট্রেনে মদ পাচারের সুযোগ করে দিত। এমনটাই অভিযোগ করেছে যাত্রীরা। সেই অভিযোগের পক্ষে প্রমাণ পাওয়াতে পূর্ব-মধ্য রেলের কোডারমা পোস্টের ৮ আরপিএফ অফিসার এবং কন্সস্টেবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিহারে মদ একেবারে নিষিদ্ধ হয়েছে। ফলে সেখানকার মানুষদের মদের চাহিদা মেটাতে গোপনে পাচার হয় দেশী এবং বিদেশী মদ। যেহেতু বিহারে মদ নিষিদ্ধ তাই সেখানকার মদের বিপুল চাহিদা মেটাতে এবং এই সুযোগের মুনাফা লুঠতে পূর্ব-মধ্য রেলের কোডারমা পোস্টের ৮ আরপিএফ অফিসার এবং কন্সস্টেবল পাচারকারীদের মদ পাচারে সাহায্য করে। এই শাখায় মদ পাচার বর্তমানে নিত্য নৈমিত্তিক হয়ে গেছে। যাত্রীরা অভিযোগ করেও সুরাহা না পেয়ে শেষে ছবি তুলে প্রমাণ ঊর্ধ্বতন কর্তীপক্ষকে পাঠালে প্রশাসন নড়েচড়ে বসে এবং এই বিষয় তদন্ত শুরু করেন রেলের আইজি। তদন্ত শেষে উঠে আসে কিছু অফিসারের নাম। তারা হলেন, অফিসার সঞ্জয় কুমার, আইএস চন্দন কুমার, মনোজ কুমার, হাবিলদার বীরেন্দ্র রায়, জওয়ান আনিল কুমার, অংশু কুমার, প্রলহাদ কুমার, অজিত সিং এবং শিবশঙ্কর প্রসাদ। এই অফিসাররা মদ পাচারকারীদের সহযোগীতা করত বলে জানা যায়।
এই প্রসঙ্গে রেলের ঊর্ধ্বতন কর্তীপক্ষের কাছে জানতে চাইলে রেলের আরপিএফ ডিআইজি রবীন্দ্র বর্মা বলেন, যে খুব তাড়াতাড়ি এইসব অভিযুক্ত অফিসারদের বিরুদ্ধে মামলা খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।