কথায় বলে ‘গরীবের নুন আনতে পান্তা ফুরোয়!’
শুধু গরীবেরই নয়, সমাজের প্রতিষ্ঠিত এবং বিত্তশালী মানুষেরাও যে অর্থের কাছে কতটা অসহায়, তারই নজির মিলল বাংলা চলচ্চিত্র জগতের অন্যতম খ্যাতনামা শিল্পী বিশ্বজিৎ চক্রবর্তীর কাছ থেকে। বড়ো পর্দার চলচ্চিত্র ছাড়াও বহু টিভি সিরিয়ালের মাধ্যমেও যথেষ্ট জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন বিশ্বজিৎ।
সংবাদ সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে যে, সম্প্রতি আলিপুরের মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট শুভদীপ চৌধুরী বিশ্বজিৎ চক্রবর্তীকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন। বিগত ২০১৫ সালে ধর্মতলার দর্শন খামানি নামক এক ব্যক্তির কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা ঋণ নেওয়ার জেরেই আজ এই বিপত্তি। ঋণ নেওয়ার সময় বিশ্বজিৎ জানিয়েছিলেন যে ব্যক্তিগত কারণে টাকাটি নিচ্ছেন তিনি, এছাড়া ওই ব্যক্তির কাছে তিনি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছিলেন যে ঋণ পরিশোধের সময় অতিরিক্ত ৩০ শতাংশ অর্থ তিনি দেবেন।
ঋণ পরিশোধের জন্য ওই সময় অগ্রিম কিছু চেক দিয়েছিলেন বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী। কিন্তু পরবর্তীতে চেকগুলি ব্যাংকে ফেলার পর সেগুলি বাউন্স করে। এরপর বছর দুয়েক আগে বিশ্বজিৎ এর বিরুদ্ধে আলিপুর আদালতে মামলা দায়ের করেন দর্শন খামানি।
আদালতের রায় অনুযায়ী, আগামী এক মাসের মধ্যে ৩০ শতাংশ অতিরিক্ত অর্থ সহ দর্শন খামানিকে তার টাকা ফেরত না দিলে কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে অভিনেতা বিশ্বজিৎ চক্রবর্তীকে।
বিশ্বজিৎ এর আইনজীবীর বক্তব্য থেকে জানা যায় যে, বর্তমানে জামিন পেয়ে টাকা শোধ করবার জন্য সময় পেয়েছেন তিনি। তবে সংবাদমাধ্যমে এই ঘটনা প্রকাশ পাওয়ার পর থেকেই চারিদিকে নানারকম গুঞ্জন উঠতে শুরু করেছে অভিনেতাকে ঘিরে। বাংলা চলচ্চিত্রের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের পাশাপাশি অবাক হতে বাধ্য হয়েছে সাধারণ দর্শকেরাও।