দিল্লি সংসদ ভবনের সামনে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে থেকে শুরু হয়ে গেল তৃণমূলের “ইভিএম হটাও, ব্যালট বাঁচাও” আন্দোলন । লোকসভা ভোটে বিজেপির তুমুল ভাবে ফিরে আসা, তৃণমূলের জনপ্রিয়তা হ্রাস পাওয়া এবং ভোটে অত্যন্ত খারাপ ফল করায় মমতা ব্যানার্জি প্রতিবাদ করেছিলেন । তার দাবি ছিল, বিজেপি সরকার ইভিএমে কারচুপি করে এবং প্রোগ্রামিং এ রদবদল ঘটিয়ে এই জয় এনেছে । বিজেপির এই জয় আসলে সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত ভোট দানের জয় নয় । এটা কারচুপি করা হয়েছে । লোকসভা ভোটের পর থেকেই তিনি বারবার করে বলে এসেছেন, ইভিএম মেশিন বাতিল করে পুনরায় ব্যালটে ভোটের ব্যবস্থা করতে হবে । ইভিএম বিষয়ক প্রশ্ন নিয়ে মমতা ব্যানার্জি আগেই অভিযোগ করেছিলেন, “ইভিএমে কারচুপি ঘটনা নতুন নয় । এর আগেও ইভিএম কারচুপি করে জিতেছে বিজেপি । এক দিনে এই অভিযোগ উঠছে না । আমরা বিরোধীরা, লোকসভা ভোটের আগে কমিটি করে এর বিরুদ্ধে লড়াই করার চেষ্টা করেছি । এবার আন্দোলনকে আমরা আরও বৃহদাকারে নিয়ে যাব নির্বাচন কমিশনের কাছে । এবার ইভিএম নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এসেছে । আমরা ব্যালটে ভোট ফিরিয়ে আনব” ।
তবে যাই হোক দীর্ঘ জল্পনা শেষে আজ দিল্লি থেকে শুরু হয়ে গেল ব্যালট পেপার পুনরায় ফিরে আনার আন্দোলন । এই আন্দোলন বিজেপি সরকার গ্রহণ করবে কি করবে না সেটাই এখন প্রশ্ন । তবে একথা ঠিক ইভিএম থেকে ব্যালট পেপারে কিছু সমস্যার অবশ্যই রয়েছে । ব্যালট পেপারে ভোট হলে গণনা কার্য যেমন দেরিতে হয়, ব্যালট পেপারের ভোটদান পর্ব মিটতে অনেকটা বেশি সময় লাগে এবং ভোট দানের যে খরচ সেটা অনেকাংশে বেশি হয় ইভিএম থেকে ব্যালটে ।