বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: গত মঙ্গলবার কক্সবাজারের টেকনাফে দিনের বেলায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাহাড়ি ডাকাত গ্রুপের সদস্যরা পুলিশকে লক্ষ্যে করে গুলি ছুড়েছে। উপজেলার জাদিমুড়া শালবাগান নছিরউল জামান নামক স্থানে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ডাকাতদের পিছনে ধাওয়া করলে তখন রোহিঙ্গারা গুলি ছোড়ে। তবে গুলিতে কোন হতাহত হয়নি। টেকনাফ পুলিশের তথ্য মোতাবেক টেকনাফের শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্পের একটি জায়গায় শীর্ষ ডাকাত জকির ও সেলিমের গ্রুপের সদস্যদের অবস্থানের খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল সেখানে ধাওয়া করে। এস ময় তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে পাহাড়ি অঞ্চলে ঢুকে পরে।
স্থানীয় তথ্য মোতাবেক জানা যায় সোমবার গভীর রাতে ওই ক্যাম্পের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শীর্ষ সন্ত্রাসী জকির ও সেলিমের গ্রুপের সদস্যদের মধ্যে গোলাগুলি ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। তবে কাউকে পাওয়া যায়নি। সেখানকার লোকজন জানিয়েছিল– গুলি করে শীর্ষ ডাকাত মোহাম্মদ সেলিমকে গুলি করে হত্যা করে লাশ পাহাড়ে গুম করা হয়েছে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের তথ্য মোতাবেক রোহিঙ্গারা একাধিক দলে ভাগ হয়ে নানা অপরাধ করছে। তাদের মূল নেতৃত্বে একজন থাকলেও এখন নিজেদের মধ্যে কোন্দলে ক্যাম্প এলাকায় গোলাগুলির ঘটনা বাড়ছে। এতে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দারা। ক্যাম্পের গোলাগুলি ঘটনা নতুন নয়। প্রায় সময়ই সেখানে দিন–রাতে গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটে থাকে। এই ক্যাম্পটি পাহাড়ি এলাকায় হওয়ায় কিছু পাহাড়ি ডাকাতরা এসব কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছে।
প্রসঙ্গত জাদিমুড়ায় ২৬–২৭ নম্বর ক্যাম্প অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। বেশ কয়েক দফা ওই ক্যাম্পে অভিযান চালাতে গিয়ে হামলার মুখে পড়েছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানান হয় ক্যাম্প ও আশপাশ এলাকায় কাউকে কোনো ধরনের অপরাধে জড়াতে দেওয়া হবে না। রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘিরে ডাকাত গ্রুপসহ অন্যান্য যেসব অপরাধ চক্র সক্রিয় রয়েছে, তাদের শনাক্ত করা হয়েছে। কয়েকজনকে বিভিন্ন সময় গ্রেফতারও করা হয়েছে। অন্যরা শিগগিরই ধরা পড়বে।