বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ দেশজুড়ে করোনা পরিস্থিতি সামলানো কঠিন হয়ে পড়ছে । কিন্তু এই পরিস্থিতির মধ্যেও রাজ্য সরকারে ২০ হাজার প্রার্থী নিয়োগ মরুভূমির মরূদ্যানের মত ব্যাপার । বিভিন্ন প্রকল্পে রাজ্য সরকার এই নিয়োগগুলি করতে চলেছে । কোন পদে কিভাবে আবেদন নেওয়া হবে দেখে নিন ।
বাংলা সহায়তা কেন্দ্রগুলিতে জাতিগত শংসাপত্র করানো, সরকারি বিভিন্ন ফি জমা, কন্যাশ্রী সহ বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের জন্য অনলাইনে আবেদন করা যাবে। গ্রামীণ এলাকায় এই কেন্দ্রগুলি তৈরি করা হয়েছে। এই বাংলা বাংলা সহায়তা কেন্দ্রগুলিতে নতুন নিয়োগ করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে । বিভিন্ন প্রকল্পে এই নিয়োগ নেওয়া হবে । সংশ্লিষ্ট বিডিও অফিস, জেলা শাসকের অফিসে বিস্তারিত জানা হাবে ।
এই মুহূর্তে বাংলা সহায়তা কেন্দ্রগুলির সংখ্যা বিচারে সবার প্রথমে এগিয়ে মুর্শিদাবাদ জেলা । সেখানে ২০৫ টি কেন্দ্র রয়েছে । তার পরেই আছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা (১৯৮) এবং হুগলি (১৮০)। তবে এই তালিকায় কলকাতা নেই। জানা গেছে, এই মুহূর্তে প্রায় সব ধরনের সরকারি পরিষেবা অনলাইন আবেদনের ভিত্তিতে করা হলেও সাধারণ মানুষ এখনও এই ব্যবস্থায় সড়গড় নন। তাঁদের হাতের নাগালে সেই পরিষেবা পৌঁছে দিতে চালু হচ্ছে ‘বাংলা সহায়তা কেন্দ্র’। আর সেই সহায়তা কেন্দ্রগুলিতে নতুন নিয়োগ হবে ।
রাজ্য সরকার ইতিমধ্যে প্রতিটি সহায়তা কেন্দ্রের জন্য দু’জন করে ডেটা এন্ট্রি অপারেটর নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে । নতুন কর্মী বাছাইয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সরকারি সংস্থা ‘ওয়েবেল টেকনোলজি লিমিটেড’ (ডব্লুটিএল) কে । এই সংস্থাটি বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে তথ্যপ্রযুক্তি সংক্রান্ত কাজের জন্য চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ করে থাকে। বাংলা সহায়তা কেন্দ্রেও সেই একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে।
ইতি মধ্যে ডব্লুটিএলের পক্ষ থেকে জেলাশাসকদের জানানো হয়েছে, বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের পরিকাঠামো প্রস্তুত থাকলে এখনই কর্মীদের সেখানে পাঠানো হবে। অন্যথায় পরিকাঠামো তৈরির পর যাবেন কর্মচারীরা। প্রতি কেন্দ্রে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়ে তুলতে ৯৫ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। জেলাশাসকদের তা খরচের অনুমোদন দিয়েছে পঞ্চায়েত দপ্তর। ওই টাকায় দু’টি ইন্টারনেট সংযোগ থাকা কম্পিউটার, একটি স্ক্যানার-প্রিন্টার, আসবাবপত্র কেনা হবে। এই প্রকল্পের জন্য চলতি আর্থিক বছরে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দের ঘোষণা বাজেটে করা হয়েছে। তবে বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের জন্য পৃথক কোনও ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে না। বিডিও, এসডিও এবং জেলাশাসকের অফিসের পাশাপাশি সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত লাইব্রেরি, স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও গ্রামীণ হাসপাতালে এগুলি চালু করা হবে।