বাগেরহাটে শরণখোলায় মাদরাসা ছাত্রী (১১) কে ধর্ষণের অভিযোগে এক মাদরাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ওই শিক্ষার্থীকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে শরণখোলা থানা পুলিশ। এর আগে সোমবার রাতে নির্যাতিত ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে ইলিয়াস হোসেন (৪৫) নামের ওই সুপারের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ইলিয়াস হোসেন শরণখোলা উপজেলার খোন্তাকাটা রাফেজিয়া ইবতেদায়ী মাদরাসার সুপার এবং একই উপজেলার পূর্ব রাজাপুর গ্রামের গফফার জোমাদ্দারের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানাযায়, ৮ আগস্ট মাদরাসার লাইব্রেরীতে নিয়ে ৫ম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করে ইলিয়াস হোসেন। ওই শিক্ষার্থীকে বিষয়টি মা-বাবাকে না জানানোর জন্য ভয় দেখায়। পরে শিশুটির রক্তক্ষরণ হয়। বিষয়টি জানতে পেরে ওই সুপার মেয়েটির বাড়িতে গিয়ে সিড়ি থেকে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছে বলে তার পিতা মাতাকে জানায়। শিক্ষার্থীকে সুস্থ্য করতে নিজেই ঝারফুক ও পানি পড়া দেয় ওই সুপার । কিন্তু তাতেও সুস্থ্য না হওয়ায় সুপারের পরামর্শে মোরেলগঞ্জ উপজেলার একটি ক্লিনিকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে শিশুটির পিতা-মাতা। সিড়ি থেকে পরে যাওয়া আঘাতের কারণে রক্তক্ষরণ নয়, অন্য কারণ থাকতে পারে বলে চিকিৎসকরা পরিবারকে পরামর্শ দেয়। এর পরেই শিশুটি তার পিতা-মাতাকে বিষয়টি জানায়। বিষয়টি জানজানি হলে, সুপার ওই মেয়ের পিতা-মাতার হাত-পা ধরেণ এবং ক্ষমা চান। পরে তিনি গা ঢাকা দেন।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলিপ কুমার সরকার বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর পিতা মামলা দায়ের করেছে। আমরা শিক্ষার্থীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছি। অভিযক্ত সুপার ইলিয়াস হোসেনকে আটক করার জন্য পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।