বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: রাণাঘাট ষ্টেশনের রানু মণ্ডলের নাম এখন গোটা দেশ জানে। এই ষ্টেশনেই ভিক্ষা করে প্রতিনিয়ত নিজের পেট বাঁচানোর চেষ্টা করতেন তিনি। এমনই ভাবে সম্প্রতি কিছুদিন আগে ষ্টেশনে বসে ‘এক প্যায়ার কে নাগমা’ গানটি গাইছিলেন তিনি। ৬০-৬৫ বছরের বৃদ্ধা’র গলায় অমন মিষ্টি আওয়াজ শুনে হতবাক হয়ে যান ষ্টেশনে উপস্থিত সকলেই। এরপর সেই গান সামাজিক গণমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়াই মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যান রাণাঘাট রেল ষ্টেশনের ভবঘুরে।
সারাজীবন নিজের পেট চালানোর জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করতে হয়েছে রানু মণ্ডল’কে। অবশেষে শেষ জীবনে নিজের কণ্ঠস্বর তাঁকে জনসমাজে পরিচিতি এনে দিয়েছে। শুধু সাধারণ মানুষই নন, রানু মণ্ডলের প্রশংসা করতে দেখা যায় বড় পর্দার বহু শিল্পী’কে।
সম্প্রতি বলিউডের ভারতের প্রখ্যাত মিউজিক কম্পোজার হিমেশ রেশমিয়া রানু মণ্ডল’কে গান শোনাতে অনুরোধ করেন। রানু’র গান শুনে নিজেকে সামলাতে পারলেন না হিমেশ, এরপরেই তাঁকে নিজের সাথে গান করতে অনুরোধ করলেন।
এরপরই হিমেশ রেশমিয়ার সঙ্গে ‘তেরি মেরি’ গানটি করে ঝড় তুললেন রানু। তাঁর জন্য তাঁকে মোটা টাকা পারিশ্রমিকও দেন হিমেশ, যদিও প্রথমে তা নিতে চাইছিলেন না রানু।
রানু’র সাথে কাজ করার পর হিমেশ জানান, “আজ আমি রানুদির সাক্ষাৎ পেয়েছি। আমি অনুভব করি, তিনি ঐশ্বরিকভাবেই আশীর্বাদপুষ্ট। তার গান আমাকে মোহিত করে। আমার পক্ষ থেকে যতটুকু করা সম্ভব আমি তার সর্বোচ্চটুকু তার জন্য করেছি। তার কাছে ঈশ্বরের একটি উপহার আছে যা গোটা দুনিয়ার ছড়িয়ে দেয়া প্রয়োজন।”
এছাড়াও, বলিউডের ভাইজান সলমন খান-এর পরবর্তী ছবি ‘দাবাং থ্রি’-তে প্লে ব্যাকের জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে রানু মণ্ডল’কে।
এরপর সম্প্রতি নবদ্বীপে একটি অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে মঞ্চ মাতালেন রানু। সেখানে নিজের গাওয়া ‘তেরি মেরি’ গানটিই শ্রোতাদেরকে শোনালেন তিনি।